হাত বদলে দাম বাড়ে সবজিতে নিরুপায় ক্রেতা

খুলনা ব্যুরো

১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম

বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ায় কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। ক্ষেত থেকে সবজি নিয়ে বাজারে এলে গাড়ি ভাড়া উঠছে না, অভিযোগ কৃষকদের। ফলে ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজার থেকে কম দামে সবজি কিনে চড়া দামে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। সিন্ডিকেটের কারনে হাত বদলে কম দামের সেই সবজি ৫ থেকে ৬ গুন বেশি দাম কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
খুলনার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে ৪ থেকে ৫ টাকার শিম খুচরা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরের ফুলকপি খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, ৫ থেকে ৬ টাকা কেজি দরের শালগম ২৫ টাকায়, ৪ থেকে ৫ টাকার মূলা খুচরা বাজারভেদে ২০-৩০ টাকা কেজিতে। এছাড়া পাইকারি বাজারের ১২ থেকে ১৪ টাকা দরের পিয়াজের কালি খুচরায় ৩০ টাকা কেজি, ২৫ টাকার টমেটো ৫০ টাকা আর ২০ থেকে ২২ টাকা কেজির কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মো. সিয়াম নামের একজন ক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা বাজারে কম দামে সবজি পাই না। আমাদের কিনতে হলে ৩০/৪০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। শুনি পাইকারি বাজারে দাম কম। আমরা তো আর পাইকারি বাজারে যেতে পারি না। তাই বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়।
মীম নামের একজন গৃহিনী বলেন, টিভি, খবরের কাগজ এবং অনলাইনে দেখি সবজির দাম কম। কিন্তু বাজারে এলে আর কম দাম পাই না।
তবে নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের খুচরা বিক্রেতা শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা যেমন কিনে আনি, তেমন বিক্রি করি। বিক্রেতা মর্জিনা বেগম বলেন, মালের দাম কম, তবে কেনাবেচা নাই। কাঁচা মাল বিক্রি করতে না পারলে পঁচে যায়।
দর্শনা থেকে খুলনায় সবজি নিয়ে আসা কৃষক আনসার আলী বলেন, পাইকারী বাজারে সবজি নিয়ে আমরা মহাবিপদে আছি, খুলনায় এনে তেল খরচ ও হচ্ছে না। এত টাকা খরচ করে সবজি ক্ষেত করলাম এখন ঐ সবজির কোনো দামই নাই। পিকআপ বোঝাই করে যে সবজি কৃষকরা ভোর বেলা সোনাডাঙ্গা পাইকারী বাজারে নিয়ে আসেন সেই সবজি পানির দামে বিক্রি করে পিকআপ ভাড়া ও মজুরি খরচটাও হচ্ছে না ।
খুলনা বিভাগীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সবজির দাম পাইকারির চেয়ে খুচরা বাজারে বেশি নেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের অভিযানও অব্যাহত থাকবে।

বিভাগ : অভ্যন্তরীণ