তাইওয়ানে সাবমেরিন-যন্ত্রাংশ রফতানি বাড়াচ্ছে ব্রিটেন ক্ষুব্ধ হতে পারে চীন
১৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৪৩ পিএম
সমুদ্রে চীনের সঙ্গে টেক্কা দিতে নিজেদের নৌবাহিনী আরো শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে তাইওয়ান। এজন্য তারা যুক্তরাজ্য থেকে সাবমেরিনের যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তি আমদানি কয়েকগুণ বাড়াচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গতবছর তাইওয়ানে সাবমেরিনের যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তি রপ্তানি একলাফে অনেকটাই বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য সরকার গত বছর প্রথম নয় মাসে দেশটির বিভিন্ন কোম্পানিকে তাইওয়ানে সাবমেরিনের যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি রপ্তানির যে অনুমোদন দিয়েছে, অর্থমূল্যে তা রেকর্ড ১৬ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড হবে। যা আগের ছয় বছরে এই খাতে মোট রপ্তানির চেয়েও বেশি। যুক্তরাজ্য সরকারের রাপ্তানি নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য বিভাগ থেকে রয়টার্স এ তথ্য পেয়েছে। যে কেউ সরকারের কাছ থেকে এই তথ্য পেতে পারে। তবে আগে কখনোও তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের রপ্তানির তথ্য আলাদা ভাবে দেখা হয়নি। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করলেও চীন এখনও দ্বীপটিকে নিজেদের ভ‚খÐের অংশ বলে মনে করে এবং চায় পুরো বিশ্ব সেটা মেনে চলুক। আন্তর্জাতিক বিশ্বে যেটি ‘ওয়ান-চায়না পলিসি’ (এক-চীন নীতি) নামে পরিচিত। চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক অনেকটাই তাদের এক-চীন নীতির উপর নির্ভরশীল। চীন চায় না তাদের ডিঙিয়ে কেউ তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুক। তাই রয়টার্সে যখন তাইওয়ানে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ পায় তখন চীন বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘যদি এটা (রয়টার্সের প্রতিবেদন) সত্য হয় তবে তা এক-চীন নীতির গুরুতর লঙ্ঘন। এর মাধ্যমে চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থক্ষুণ্ন হবে এবং এ পদক্ষেপ তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। গত কয়েক দশকের মধ্যে বর্তমানে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে গত বছরের শেষ ভাগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের প্রধান ন্যান্সি পেলোসির হঠাৎ করেই তাইওয়ান সফরের পর। ন্যান্সির পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার তাইপে সফর করেছেন। যার জবাবে, তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। চীনের উপক‚ল থেকে সমুদ্রে প্রায় ১০০ মাইল দক্ষিণপূর্বে তাইওয়ান দ্বীপের অবস্থান। চীনের সঙ্গে সমুদ্রে সামরিক শক্তিতে পাল্লা দিতে তাইওয়ান তাদের নৌ প্রতিরক্ষা জোরদার করছে। এর অংশ হিসেবে তারা সাবমেরিনের বহর তৈরি করছে। চীনের ক্ষোভের কারণ হতে পারে উদ্বেগ থেকে তাইওয়ান সরকার দশকের পর দশক ধরে অন্য দেশ থেকে প্রচলিত সাবমেরিন কেনা থেকে বিরত ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে তাইওয়ান সরকার তাদের সাবমেরিন বহর নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। তারপর থেকেই যুক্তরাজ্য তাইওয়ানে সাবমেরিন যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তি রপ্তানি বাড়ানোর শুরু করে। ২০২০ সালে যুক্তরাজ্য তাইওয়ানে ৮ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড মূল্যের সামমেরিন যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তি রপ্তানি করে। ২০১৭ সালে যা ছিল মাত্র ৩১ হাজার ৪১৫ পাউন্ড। তার আগের বছর এ খাতে কোনো রপ্তানি হয়নি। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের
দক্ষিণ কোরিয়ার সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে বিপদের ফাঁদে পর্যটকরা
ঢাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ
হিরো নয় কারিনার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি
রাওয়ার নেতৃত্বে আবদুল হক ও ইরশাদ সাঈদ
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ কিশোর নিহত
গাজীপুরে কারখানা থেকে দগ্ধ আরও এক লাশ উদ্ধার
সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান
বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ ছিলেন বাইডেন : সেনাদের লাশ পেতে অপেক্ষায় স্বজনরা
ভারতে পণ আইন নিয়ে বিতর্ক, এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ঘিরে আলোড়ন
ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় পড়ে ছিল বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ
এক্সপ্রেসওয়েতে কভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫
ব্রাজিলে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, সব যাত্রী নিহত
চুয়াডাঙ্গার রামদিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজনকে হত্যা, আহত ৫
চীনের নতুন বাঁধ প্রকল্পে তিব্বতিদের প্রতিবাদ, দমন-পীড়ন ও গ্রেফতার
গাজীপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু
সউদীতে এক সপ্তাহে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
শহীদ মিনারে ছাত্র আন্দোলনে নিহত আরাফাতের জানাজা বিকালে