সাবেক তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট মা ইং চীন সফরে যাবেন
২০ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
এ মাসে চীন সফরে যাবেন তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মা ইং-জউ। রোববার তার কার্যালয় থেকে একথা জানানো হয়েছে। ১৯৪৯ সালে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর রিপাবলিক অব চায়না সরকার তাইওয়ান দ্বীপে পালিয়ে যায়। তারপর তাইওয়ানের সাবেক বা বর্তমান প্রেসিডেন্টদের মধ্যে মা ইং-জউই হতে চলেছেন প্রথম কেউ, যিনি চীন সফরে যাচ্ছেন। এমন একটি সময়ে মা চীন সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন যে সময়ে বেইজিং ও তাইপের মধ্যে উত্তজনা তুঙ্গে রয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাইপে সফর ঘিরে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে যুদ্ধ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। যে উত্তেজনার পারদ এখনও নামেনি। তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে চীন। যারা একদিন পুনরায় একত্রিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন। তাইওয়ানের কারণেই চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক ‘ওয়ান-চায়না পলিসি’ বা এক-চীন নীতির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।চীন চায় বাকি বিশ্ব তাদের এক-চীন নীতি অনুসরণ করুক। তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক নাম এখনও ‘দ্য রিপাবলিক অব চায়না’। মা তাইওয়ানের বর্তমান বিরোধী দল কুওমিনটাং (কেএমটি) এর একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য।এর আগে তিনি ২০১৫ সালের শেষ দিকে সিঙ্গাপুরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকের মাত্র কয়েকদিন আগেই ভোটে জিতে তাইওয়ানের ক্ষমতায় আসেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। মা’র কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তিনি আগামী ২৭ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল চীন সফর করবেন। চীনের নানজিং, উহান, চাংসা, চংকিং এবং সাংহাইয়ে যাবেন তিনি। ওইসব নগরীতে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও চীন-জাপান যুদ্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করবেন। সেইসঙ্গে মা ওইসব স্থানেও যাবেন যেগুলোর সঙ্গে ১৯১১ সালে গণবিপ্লবের মাধ্যমে চীনা সম্রাটকে উৎখাত করে বর্তমান রিপাবলিক অব চায়নার জন্মের সম্পর্ক রয়েছে। মা’র কার্যালয় থেকে তার চীন সফরে যাওয়ার খবর দেওয়া হলেও তিনি চীনের কোনও কর্মকর্তা বা প্রেসিডন্ট শি’র সঙ্গে বৈঠক করবেন কিনা সে বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। কুওমিনটাং (কেএমটি) ঐতিহ্যগতভাবেই চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে। যদিও দলটি দৃঢ়ভাবে নিজেরা চীনপন্থি নয় বলে দাবি করে। তবে তাদের সেই দাবি আর কাজের মধ্যে মিল নেই। বরং, উভয় দেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ শিথিল করার পর চীনের সঙ্গে কেএমটি কর্মকর্তাদের যোগাযোগ বেড়েছে। গত মাসে কেএমটির উপ প্রধান অ্যান্ড্রু সিয়া বেইজিং যান এবং সেখানে কমিউনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) বিরোধীদল কেএমটিকে আক্রমণ করতে সিয়ার চীন সফরের কথা উল্লেখ করে বলেছে, তারা বেইজিংয়ের অতি কাছের এবং তাইওয়ানকে বিক্রি করে দিতে চায়। অন্যদিকে, কেএমটি বলেছে, চীনের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে। রয়টার্স, বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।