পানির আন্তর্জাতিক সঙ্কট আসন্ন
২২ মার্চ ২০২৩, ১১:০৬ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০২:০৩ এএম
বিশ্বের ২৬ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানি এবং ৪৬ শতাংশ মানুষ ভালো ব্যবস্থাপনার পয়োনিষ্কাশন সেবা থেকে বঞ্চিত। মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের বিশ্ব পানি উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০২৩ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রায় অর্ধশতাব্দী পর বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের আয়োজনে বিশ্ব পানিসংকট নিয়ে একটি সম্মেলন শুরু হচ্ছে। তার আগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, পানি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংকট ‘আসন্ন’। প্রতিবেদন বলছে, গত চার দশকে প্রতিবছর বিশ্বে পানির ব্যবহার এক শতাংশ করে বেড়েছে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত এই হার বজায় থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অঞ্চলভেদে পানি প্রাপ্যতার মধ্যে একটি বড় ব্যবধান আছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। এটি দূর করতে চায় জাতিসংঘ। এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য বিশুদ্ধ পানিও নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ। এসব লক্ষ্য পূরণে বছরে ৬০০ বিলিয়ন থেকে এক ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হতে পারে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রতিবেদনের প্রধান সম্পাদক রিচার্ড কনোর। বর্তমানে বিশ্বে ব্যবহৃত মোট পানির ৭০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে কৃষি খাতে। তবে শহরে জনসংখ্যা বাড়ছে বলে কৃষিজমি থেকে পানি সরবরাহ কমিয়ে শহরাঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অপর দিকে, বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, পানি আমাদের এই বিশ্বের প্রাণের উৎস। স্বাস্থ্য ও পুষ্টি থেকে শুরু করে শিক্ষা ও অবকাঠামো পর্যন্ত সবকিছুতেই মানুষের টিকে থাকা ও ভালো থাকা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য পানি অপরিহার্য। কিন্তু এই প্রাণের উৎসের প্রতিটি ফোঁটা দূষণের শিকার হচ্ছে, অতি ব্যবহারে অপচয় হচ্ছে। এদিকে চলতি দশকের শেষ দিকে পানির সরবরাহের তুলনায় চাহিদা ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন পানির প্রাকৃতিক চক্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে দূষণ যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। ফলে পানিজনিত দুর্যোগ, রোগের প্রাদুর্ভাব, পানির স্বল্পতা ও খরা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি অবকাঠামো, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ বছর বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য এসব ব্যর্থতার কারণে শত কোটি মানুষকে যে মূল্য দিতে হচ্ছে, তা-ই স্মরণ করিয়ে দেয়। এই মানুষগুলো নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত। গুতেরেস বলেন, বিশ্বের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে এখন পানির সার্বিক চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে উন্মুক্ত জলপ্রবাহ ও পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে, নতুবা উচ্চমূল্যে তথাকথিত নিরাপদ পানি কিনে। ২২ শতাংশ মানুষ উন্মুক্ত পরিবেশে কিংবা অপরিচ্ছন্ন, বিপজ্জনক অথবা ভাঙাচোরা শৌচাগারে মলমূত্র ত্যাগ করছে এবং ৪৪ শতাংশের ক্ষেত্রে বর্জ্য পানি অপরিশোধিত অবস্থায়ই প্রকৃতিতে ফিরছে। ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি হচ্ছে। আসুন, পানির সুরক্ষা, টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং সবার জন্য সমহারে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ শুরু করি। ইউএনবি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০ ইউনিট
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
প্রশ্ন: কিসব কারণে বিয়ের বরকত নষ্ট হয়ে যায়?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)