প্রায় বছর পর কারামুক্ত
০২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৫ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০১:২২ এএম
সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সশ্রম কারাদ- দেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু গত শনিবার পাতিয়ালা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গত বছরের ১৯ মে তাকে সাজা দেয়া হয়েছিল। তার একদিন পর ২০ মে পাতিয়ালা আদালতে সিধু আত্মসমর্পণ করেন। তারপর থেকে সাজা ভোগ করছিলেন সিধু। গত শনিবার তার সাজার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে।
সিধুর মামলার সময়সারণি
১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর নভজ্যোৎ সিং সিধু এবং সহ-অভিযুক্ত রুপিন্দর সিং সান্ধু ওরফে বান্নি একটি জিপসিতে ছিলেন। পাতিয়ালার বাসিন্দা গুরনাম সিং-এর সঙ্গে তাঁদের ঝগড়া হয়। গুরনাম তাঁদের দু’জনকে বলেছিলেন জিপসিকে রাস্তার একপাশে নিয়ে যেতে। যাতে তিনি নিজের গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। ঘটনাটি ঘটে সিধুর নিজের শহর পাতিয়ালার শেরানওয়ালা গেটের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ৬৫ বছর বয়সি গুরনামকে সিধু মারধর করেছিলেন। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। আহত গুরনামকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ১৯৯৯ সালে নিম্ন আদালত সিধু ও বান্নিকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিধু ও বান্নিকে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। তিন বছরের কারাদ-ের নির্দেশ দেয়। ২০০৭ সালে সিধু ও বান্নি হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত সিধু ও বান্নির সাজায় স্থগিতাদেশ দেয়।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট স্বেচ্ছায় গুরনামকে আঘাত করার জন্য সিধুকে দোষী সাব্যস্ত করে। একইসঙ্গে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রায়ের বিপরীতে গিয়ে সিধুকে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। ওই বছর ১৫ মে-এর একটি রায়ে সিধুকে ভারতীয় দ-বিধির ৩২৩ ধারার অধীনে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বিচার করে দেখে যে সিধুর ঘটনাটি ৩০ বছরের পুরোনো। সিধু ও গুরনামের মধ্যে কোনো পূর্ব শত্রুতা ছিল না। আর অভিযুক্ত সিধু ও বান্নি এই ঘটনায় কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গুরনামের পরিবার এ ঘটনায় সিধুর আরো শাস্তি চেয়ে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায়। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে। ২০২২ সালের ১৯ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি এসকে কউলের আদালত এ মামলায় সিধুকে একবছরের সশ্রম কারাদ-ের নির্দেশ দেয়। আদালত বলে, ‘কিছু বস্তুগত দিক যা মনে রাখা দরকার, সেগুলো সাজা দেওয়ার পর্যায়ে কোনোভাবে বাদ চলে গেছে।’ সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু