‘রসাতলে যাচ্ছে দেশ’, ফ্লোরিডা ফিরে বাইডেনকে তোপ ট্রাম্পের
০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৩ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:৫৪ এএম

আদালতে হাজিরা দিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে ব্যক্তিগত বিমানে ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোয় ফিরেই আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসনকে তুলোধোনা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েন্সকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার দায়ে অভিযুক্ত ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনকে সরাসরি নিশানা করতে গিয়ে হাতিয়ার হিসাবে তুলে নিলেন তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপকে। ফ্লোরিডায় নিজের সমর্থকদের বললেন, ‘আমি দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি আমেরিকায় এমন কিছু হতে পারে। আমার অপরাধ ছিল শুধু দেশরক্ষায় দৃঢ়তা প্রদর্শন।’
আমেরিকার প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফৌজদারি মোকদ্দমার মুখে পড়েছেন তিনি। আদালতে পৌঁছনোর পরেই নিয়ম মেনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরে আঙুলের ছাপ নিয়ে তাকে শুনানির জন্য আনা হয় বিচারকের সামনে। ট্রাম্প গ্রেফতার হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু পুলিশ বা জেল হেফাজতে তাকে থাকতে হবে না। সেই অনুযায়ী, হাজিরা শেষ হওয়ার পরই ব্যক্তিগত বিমানে ফ্লোরিডা ফিরে যান তিনি। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন ক্রিমিনাল কোর্ট হাউসে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে অবশ্য একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি। কথা ছিল, মার-আ-লাগোয় ফিরে মুখ খুলবেন। ব্যক্তিগত বিমান ফ্লোরিডায় প্রবেশ করতেই জল্পনা চড়তে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সমর্থকদের সামনে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। আর তা করতে গিয়ে বার বার নিশানা করেন আমেরিকার বর্তমান প্রশাসনকে। বলেন, ‘দেশ রসাতলে যাচ্ছে।’
ট্রাম্পের অভিযোগ, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি যাতে কোনও ভাবেই লড়াইয়ে থাকতে না পারেন, সেই ব্যবস্থাই পাকা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এ সমস্ত ভুয়া মামলা করা হয়েছে কেবলমাত্র ২০২৪ সালের ভোটকে প্রভাবিত করতে। অবিলম্বে সবক’টি মামলা খারিজ করা দরকার।’ তার পরেই বাইডেন প্রশাসনকে নিশানা করে বলেন, ‘যে কোনও মূল্যে আমাকে ভিতরে ঢোকানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে অতি বামপন্থী বিচারকদের।’
প্রসঙ্গত, আদালত থেকে ট্রাম্পকে বলা হয়েছিল, এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না যা সহিংসতায় উস্কানি দেয় বা সমাজে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করে। পর্যবেক্ষকদের একটি অংশের মতে, সে কথা মাথায় রেখেই বাইডেনের নাম নেননি ট্রাম্প। যদিও অন্য একটি অংশের দাবি, ট্রাম্প বাইডেনের নাম নেননি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে।
ঘটনাবলি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে ট্রাম্প ২০২৪-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে। একটি অংশের দাবি, ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত কোনও বিষয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার শর্ত হিসাবে নেই। ফলে আইনগত ভাবে ট্রাম্পের তাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, জনতার সমর্থন তখন তার দিকে থাকবে কি না, তা নিয়ে। সম্ভবত ৪ ডিসেম্বর ট্রাম্প আবার আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন। সূত্র : রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রাঙা সকালে শাবনাজের না বলা কথা

জে-হোপের সুইট ড্রিমস

ঈদে চ্যানেল অইতে ৭ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার

বিশাল আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে জেমসের কনসার্ট

অ্যাভাটারের তৃতীয় পর্ব মুক্তি পাবে ১৯ ডিসেম্বর

মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে রুল

কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরির চেষ্টা করছে : মির্জা আব্বাস

জুলাই-আগস্টে ঢাবি ক্যাম্পাসে সহিংস ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন ভিসির কাছে হস্তান্তর

বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাক্বওয়ার শিক্ষা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে Ñজমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন উপসচিব রেজাউল করিম

চার্চের শিক্ষক সুব্রত বৈদ্য হত্যায় সব আসামি খালাস

জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে কর্মবিরতি

আছিয়ার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য লজ্জাজনক : ইউট্যাব

সংস্কার সুপারিশ নিয়ে মতামত দিয়েছে ৭ দল, ১৬ দল সময় চেয়েছে

ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স সুপারভাইজার সমিতি গঠিত

রামপালে অবাধে চলছে ঘের দখল ও চাঁদাবাজি

মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার

সুন্দরবনের কাঠসহ ১০ চোরাকারবারী আটক

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

নোবিপ্রবিতে ৮০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন উদ্বোধন