দ্বাদশ শ্রেণিতে কর্ণাটকে প্রথম হিজাব আন্দোলনের মুখ তাবাসসুম
২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৪১ পিএম
ভারতের কর্ণাটকে গত বছর স্কুলগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধের পর অসন্তোষ ও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। সেসময় দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ওই আন্দোলনের প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন ১৭ বছরের তরুণী তাবাসসুম শাইক। তাকে নিয়ে ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও বহু রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনার এক বছর পর আবারও সংবাদমাধ্যমের খবরে এলেন তাবাসসুম। তবে এবার ওই হিজাব আন্দোলনের জন্য নয়, বরং রাজ্যের কলা বিভাগ থেকে প্রথম হয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। ভয়েস অব আমেরিকার খবরে জানানো হয়েছে, ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৫৯৩ পেয়ে কর্ণাটক রাজ্যে চলতি বছরের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কলা বিভাগে প্রথম হয়েছেন তিনি। এ ফলাফলের সুবাদে পুনরায় সংবাদমাধ্যমের নজরে এসেছেন তিনি। সেই সঙ্গে কর্ণাটকের হিজাব আন্দোলন প্রসঙ্গও যেন নয়া মাত্রা পেয়েছে। বেঙ্গালুরুতে হিজাব আন্দোলনে তাবাসসুম ছিলেন আন্দোলনকারী মেয়েদের অন্যতম। প্রতিবাদে সেসময় স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে তিনি তার সিদ্ধান্ত বদলান।
পরীক্ষার সাফল্য প্রসঙ্গে তাবাসসুম বলেন, সেসময় হিজাব নিষিদ্ধ করায় বাসায় বসে ছিলাম বহুদিন। তবে শেষ পর্যন্ত বাবা-মায়ের একটি কথায় তার সিদ্ধান্ত বদলায়। তারা বলেন যে, পড়াশুনা বন্ধ করে দিলে ভবিষ্যতের প্রতি অন্যায় করা হবে। তাবাসসুমের বাবা আবদুল কায়উম শাইক পেশায় ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার। মা পারভিন গৃহবধূ। চার বছরের বড় ভাই আবুল কালাম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। তাবাসসুম জানিয়েছেন, বাবা-মা-ভাইয়ের পরামর্শে আমি স্কুলে ফিরে যাই। অবশ্য হিজাব ছাড়া খুব খারাপ লাগছিল। আমি পাঁচ বছর বয়স থেকে হিজাব পরি, পোশাকটা আমার ভাল লাগে। একটা অধিকার জন্মে গিয়েছিল। হিজাব না পরে স্কুলে যেতে তাই খুব কষ্ট হয়েছে। যদিও হিজাব পরার অধিকারের জন্য তার অনেক বন্ধুই স্কুল ছেড়ে দিয়েছিল। তবে তাবাসসুম মনে করেন, প্রতিবাদের নামে পড়াশুনা ছাড়লে সিদ্ধান্তকারীদের উদ্দেশ্যই সফল হতো। তাই স্কুলে ফেরা এবং পরীক্ষার আগে সব ভুলে পড়ায় মন দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর কর্ণাটকের বিজেপি সরকার আচমকাই বারো ক্লাস পর্যন্ত হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে রাজ্যজুড়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের নামে মুসলিম সংগঠন ও ছাত্রীরা। বহু জায়গায় তা সাম্প্রদায়িক অশান্তির চেহারা নেয় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি পাল্টা পথে নামে। তবে প্রতিবাদের মূল স্রোত হয়ে উঠেছিল মুসলিম ছাত্রীদের স্কুল বয়কট। হিজাব নিষিদ্ধ করে সরকার ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে অভিযোগ তুলে অনেক বাবা-মা-ও মেয়েকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন। ওই ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে এখনও বিচার চলছে।
তাবাসসুমের প্রশ্ন, একটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কেন পোশাকের ওপর সরকারি বিধিনিষেধ থাকবে। শিক্ষা আমার অধিকার, ধর্মাচরণও অধিকার। কর্ণাটকে আসন্ন বিধানসভার ভোট। সেখানেও ফিরেছে হিজাব বিতর্ক। তাবাসসুম এবার কলেজে যাবেন, সেখানে ইউনিফর্মের কড়াকড়ি নেই। তবুও শঙ্কা রয়েই গেছে তার মনে। যে কোনো সময় বিশ্ববিদ্যালয়েও এ কড়াকড়ি চালু হতে পারে। তাই তিনি এখন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি নিয়ে পড়তে বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান। সূত্র : ভিওএ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত