ইউক্রেন-রাশিয়ার শান্তি আলোচনায় কাজ করছেন পোপ
০২ মে ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | আপডেট: ০৩ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যখন ১৫তম মাসে প্রবেশ করেছে, তখন রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয়রা উভয়ই বসন্তকালীন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এবং এই মুহুর্তে খুব কম মানুষই বিশ্বাস করে যে, আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধে কোনও শান্তি চুক্তি সম্ভব। তবে, ভ্যাটিকানের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন যে, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের গোপন মিশনে জড়িত ছিলেন। বুদাপেস্টে তিন দিনের সফরে পোপ ফ্রান্সিস রবিবার বলেন যে, তিনি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান এবং বুদাপেস্টে রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রতিনিধি উভয়ের সাথে পরিস্থিতি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এইসব কথা বলেছি। সবাই শান্তির পথে আগ্রহী।’ পোপ বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী দেনিস শ্মিহালের সাথে সাক্ষাতের পর বলেছেন যে তিনি তার সাথেও একটি শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। শ্মিহাল রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পোপের সাহায্য চেয়েছেন। পোপ যুদ্ধের প্রথম দিকে রাশিয়াকে আগ্রাসনসকারী হিসেবে াভিহিত করতে অনিচ্ছুক ছিলেন, কারণ তিনি আশা করেছিলেন যে, ভ্যাটিকানের ঐতিহ্যগত নিরপেক্ষতা তাকে যুদ্ধবিরতি বা শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী করে তুলতে পারে। কিন্তু রাশিয়ার সমালোচনা করতে তার অনীহা এবং ইউক্রেনের চাপের কারণে অবশেষে তাকে রাশিয়ার নিন্দা করার দিকে পরিচালিত করে। কিন্তু ফ্রান্সিস, যিনি বলেছেন যে, ভ্যাটিকান এর আগে দু’পক্ষের মধ্যে বন্দী অদলবদলের সুবিধার্থে ভূমিকা পালন করেছিল, এখন শান্তি প্রক্রিয়ায় নায়ক হতে চায়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সবসময় রাস্তা খোলার মাধ্যমে শান্তি আসে।’
ফ্রান্সিস কট্টর ডানপন্থী এবং অভিবাসন বিরোধী ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতা অরবানকে সামনে পোপ তার ভক্তদের বিদেশী ও অভিবাসীদের স্বাগত জানাতে এবং দরজা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন, যা কারোর মুখেও ওপর কখনও বন্ধ হবে না। অনেকে মনে করছেন যে তিনি শুধু হাঙ্গেরির কথা, বা অভিবাসীদের কথা বলছেন না, বরং আরও বিশ্বজনীন বার্তা দিচ্ছেন, যেমন পোপ বলেছেন, ‹বন্ধ দরজা দেখা কতোই না দু:খজনক এবং বেদনাদায়ক। অন্যের ব্যাপারে আমাদের স্বার্থপরতার বন্ধ দরজা, ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতার সমাজের মধ্যে আমাদের আত্মকেন্দ্রিকতার বন্ধ দরজা, যারা সুবিধাবঞ্চিত ও ভুক্তভোগী, তাদের প্রতি আমাদের উদাসীনতার বন্ধ দরজা, যারা বিদেশী বা আমাদের মত নয়, অভিবাসী বা দরিদ্রদের জন্য আমরা দরজা বন্ধ করে দিয়েছি।
যদিও অরবান এমন একটি দেশের নেতৃত্ব দেন, যা ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েরই সদস্য, কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তার অবস্থান ইউরোপের বাকি অংশের সাথে বিরোধপূর্ণ। তিনি ইউক্রেনে সামরিক সাহায্য পাঠানো এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করেন। হাঙ্গেরির সরকার অরবান এবং পোপ ফ্রান্সিসকে যুদ্ধে সমমনা হিসাবে পরিবেশন করার চেষ্টা করেছে, কারণ উভয়ই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। ফ্রান্সিস শান্তির সহায়ক হিসাবে নিজেকে পুন:স্থাপন করার প্রচেষ্টার সম্ভাব্য চিহ্ন হিসাবে বিপর্যস্ত ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান জনগণের জন্য সুরক্ষা ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন। তিনি রবিবার হাঙ্গেরির গণসমাবেশ শেষে ভক্তদের অনুরোধ করেন, ‹উন্মুক্ত এবং উদার হোন। এইভাবে, হাঙ্গেরিকে ভ্রাতৃত্বে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করুন, যা শান্তির পথ।’
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম