তুরস্কের ক্ষমতায় যিনি আসুন না কেন রাশিয়ার সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক থাকবেই
০৬ মে ২০২৩, ০৮:১১ পিএম | আপডেট: ০৭ মে ২০২৩, ১২:০৩ এএম
তুরস্কের ক্ষমতায় যেই আসুক না কেনো, রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির সুসম্পর্ক থাকবেই। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। ন্যাটো সদস্য হলেও গত এক দশকে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্ক ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন রাশিয়াকে বন্ধু হিসেবে ধরে রাখা তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটি বহু দেশের সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে নেয়ার চেষ্টায় নেমেছে। একসময় সৌদি আরব, ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক ছিল তুরস্কের। কিন্তু দেশগুলোর সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে কাছে আসার চেষ্টা করেছে আঙ্কারা। এছাড়া সিরিয়া ও মিশরের সঙ্গেও সম্পোর্কন্নয়নের কাজ চলছে। তবে এগুলো কোনোটিই পশ্চিমের কাছে বড় সমস্যা না, যতটা সমস্যা রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার নিয়ে। ন্যাটো সদস্য হয়েও রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার দুঃসাহস দেখিয়েছে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মিত্র মনে করা হয়।
তুরস্ক কেনো রাশিয়ার দিকে ঝুঁকল? এমন প্রশ্নের জবাবে আঙ্কারা পলিসি সেন্টারের প্রধান ফাতিহ সিলান বলেন, এটি মোটেও স্বেচ্ছাচারী কোনো পদক্ষেপ নয়, তুরস্কের জন্য রাশিয়ার বন্ধু হওয়া জরুরি ছিল। রাশিয়া তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ। এই বিশাল প্রতিবেশীর সঙ্গে কাজ করা তুরস্কের জন্যেই লাভজনক। ফলে রাশিয়া যখন গত বছরের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করলো তখন অন্য ন্যাটো দেশগুলোর মতো রাশিয়ার নিন্দা জানানো থেকে বিরত ছিল তুরস্ক। এমনকি পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যখন নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তখন এর বিরোধিতা করেছিল তুরস্ক। সিলান বলেন, রাশিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিবেশীকে পাশে সরিয়ে রাখতে পারে না তুরস্ক। দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। এই সম্পর্ক দুই দেশের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী ১৪ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তুরস্ক। আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটি। এতে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, এরদোগান তার বিরোধী নেতার থেকে কিছুটা পিছিয়েই আছেন। এরদোগানের অধীনে তুরস্ক যেভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে সংকটে ডুবে ছিল, তাই তার সমর্থন কমিয়ে দিয়েছে। এখন হঠাৎ করে দেশটির এতদিনকার পররাষ্ট্রনীতি যদি বদলে যায় তাহলে দেশটির অর্থনীতিতেও সেই প্রভাব পড়বে। ফলে তুরস্কের ক্ষমতায় এরদোগান না থাকলেও কামাল কিলিচদারোগলুকে রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। সূত্র : ফরেন পলিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩, আহত ২২ হাজার
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল গ্রেফতার
বিচারবিভাগ নিয়ে আজ রোডম্যাপ দেবেন প্রধান বিচারপতি
নেছারাবাদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নিহতদের স্মরণে বিএনপির আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল
নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায় চীন: শি জিনপিং
পতিত স্বৈরাচারের দোষর মিডিয়া আর স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে
পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টও মুলতানে
৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সিআইআইই-তে অংশ নেবে
সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আজ প্রতিনিধিদল যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে
৩ হাজার কয়েদির সাজা মওকুফ অথবা হ্রাস করতে যাচ্ছে ইরান
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর শ্রীলংকায় প্রথম নির্বাচন আজ
জুনে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন ১৭ শতাংশ কমেছে
রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
গারো পাহাড়ের বালু খেকোদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের সতর্কবার্তা
রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?
টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার