ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

ইউক্রেনে শান্তির সম্ভাবনা দেখছেন কিসিঞ্জার

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৮ মে ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২৩, ১২:০৪ এএম

এ বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে বলে ভবিষ্যতবাণী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বড় একটি টার্নিং পয়েন্টের দিকে এগুচ্ছে ইউক্রেন সংঘাত। ২০২৩ সালের শেষ দিকেই চীনের মধ্যস্ততায় শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে। ৯৯ বছর বয়সী এই কূটনীতিকের ওই সাক্ষাৎকারটি রোববার প্রচার করেছে সিবিএস। এতে তিনি বলেন, যেহেতু চীন শেষ পর্যন্ত আলোচনায় প্রবেশ করেছে, এর একটা গতি হবেই। আমার ধারণা এ বছরের মধ্যেই সেটা হবে। এ সময়ের মধ্যে আমরা দেখবো ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে দর কষাকষি শুরু হয়েছে। এমনকি সত্যিকারের আলোচনা দেখতে চলেছি আমরা। সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী একটি পক্ষ হতে চলেছে চীন। যদিও ইউক্রেনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে ইউক্রেন শর্তগুলো ভালো করে বিবেচনা করছে বলে দেশটির তরফে জানানো হয়েছে। অপরদিকে এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে মস্কো। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, চীনের তোলা শর্তগুলো মস্কোর অবস্থানকেই তুলে ধরে। পশ্চিমা দেশগুলো যুদ্ধের প্রথম থেকেই ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে চলেছে। যুদ্ধের ১৪ মাস পরেও অস্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ ইউক্রেন। তারা যুদ্ধ করে রাশিয়ার কাছে হারানো ভূখ- ফেরত নিতে চায়। যদিও ইউক্রেনের এমন ইচ্ছাকে কল্পনাপ্রসূত মনে করে রাশিয়া। দেশটি ইউক্রেনকে অনর্থক যুদ্ধ না করে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার হাত থেকে হারানো অঞ্চল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো আলোচনা চায় না। এর ফলে শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এবার সেই অচলাবস্থা ভাঙার ইঙ্গিত দিয়েছেন কিসিঞ্জার। এর আগেও তিনি ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনার ওপরে জোর দিয়েছিলেন। দুই পক্ষেরই ছাড় দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। কিসিঞ্জার ইউক্রেনকে ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি ডনবাসের দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বশাসনের অধিকার দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। সিবিএস নিউজ।

 

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা