দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে চীন
১১ মে ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম | আপডেট: ১২ মে ২০২৩, ১২:০২ এএম
গত মাসে, চীন ও সিঙ্গাপুর মালাক্কা প্রণালীতে তাদের নৌ-মাইন অপসারণের ক্ষমতা বাড়ানো এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মহড়া চালিয়েছে। এই মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা জোরদার করা। চীন সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়াও পরিচালনা করেছে, যেখানে মাইন অপসারণ ও নৌ কৌশলের মতো কার্যক্রম রয়েছে। এই মহড়াগুলোর মাধ্যমে উভয় দেশের সক্ষমতা প্রমাণ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের শক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, চীনের সামরিক খাতে যে আধুনিকায়ন চলছিল, সেই প্রেক্ষাপটে দেশটিকে দীর্ঘদিন ধরে একটি ‘উঠতি শক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই বিশ্লেষণ মনে হয় এখন শেষ হয়ে গেছে। চীন এখন আর উঠতি শক্তি নেই, তারা মারাত্মক শক্তিতে বা সুপারপাওয়ারে পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করছে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনির যুক্তরাষ্ট্র স্টাডিজ সেন্টারে নতুন একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কৌশল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নজিরবিহীন সংকটে রয়েছে। ওয়াশিংটনকে হয়তবা তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে রক্ষা করার জন্য চীনের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তারা বলছেন, আমেরিকা সামরিক শক্তির দিকে থেকে ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আর একাধিপত্য উপভোগ করতে পারছে না এবং দেশটির নিজেদের সপক্ষে ক্ষমতার একটা ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে বেইজিংয়ের দারুণ সব ক্ষেপণাস্ত্রের যে সম্ভার রয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এবং তার বন্ধু দেশগুলোর জন্য হুমকি। চীনের কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল এশিয়া এবং নিজেদের আশপাশে শক্তিবৃদ্ধি। এখানে দুটি মূল বিষয়- লক্ষ এবং তার নাগাল পাওয়া। তার অর্থ এশিয়াতে চীন ইতিমধ্যে একটা সুপার-পাওয়ার হয়ে উঠেছে যেটার ফলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা এবং যুদ্ধের লড়াই নিয়ে গবেষণা করেছে এবং তারা একটা কার্যকর কৌশল তৈরি করেছে। চীনের জন্য মালাক্কা প্রণালীতে সামুদ্রিক অবরোধের ক্ষেত্রে পাকিস্তানে প্রবেশাধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ২০১৭ সালে ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত জিবুতিতে চীন তার প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি চালু করার পর অঞ্চলটিতে চীনা আগ্রহ প্রতিবেশী ভারতের উদ্বেগকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেইজিং সফরে গেছেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান আমজাদ খান নিয়াজি। আর সেখানেই চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সফররত পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধানকে জানান, দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান অংশ। বিবিসি, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে ৩শ’ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
রাজশাহী মহানগরীতে ঘন কুয়াশা
আবারও ভানুয়াতুতে দ্বীপপুঞ্জে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প
হাজীগঞ্জে ভরাট মিঠানিয়া খালের মুখ, হুমকিতে ফসলি জমি
রাহাতের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত দর্শক, বাংলায় বললেন 'আমরা তোমাদের ভালোবাসি'
‘প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক বার্নেট নিযুক্ত
ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার
ফ্রেন্ডলি ফায়ার দুর্ঘটনায় লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ধ্বংস
ইরানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১০
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী কে, জানেন?
বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত
হাত ফসকে আইফোন পড়ে গেল মন্দিরের দানবাক্সে, ফেরত দিতে অস্বীকৃতি
কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী 'সাদ' পন্থীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত
সিনেটে প্রার্থী হতে সরে দাঁড়ালেন লারা ট্রাম্প