ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

বসতির সুযোগ দেয়ায় ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৩ মে ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম | আপডেট: ২৪ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে একটি ফাঁড়িতে ইহুদিদের স্থায়ী বসতি গড়ার সুযোগ দেওয়ায় ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোমেস নামের ওই ফাঁড়িতে এমন সিদ্ধান্ত না নিতে অতীতে ইসরাইলকে সতর্ক করেছিল দেশটি। দ্য টাইমস অব ইসরাইল পত্রিকা জানিয়েছে, ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান গত বৃহস্পতিবার এক আদেশে স্বাক্ষর করেন। এতে ইসরাইলিদের হোমেস ফাঁড়িতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। আর এর মাধ্যমেই সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে বসতি নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হলো বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। ফিলিস্তিনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত না নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলকে বারবার অনুরোধ করেছে। বিশেষ করে হোমেস ফাঁড়িতে কিছু না করতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত হোমেস ফাঁড়িতে স্থায়ী বসতি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত ইসরাইল সরকারের আদেশে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইসরাইলের আইন অনুযায়ী ওই এলাকাটি ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে গড়ে উঠেছে।’ তিনি বলেন, ওই আদেশ ২০০৪ সালে ইসরাইল সরকারের করা অঙ্গীকার এবং অতি সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসনের কাছে করা অঙ্গীকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। অবশ্য এই বিষয়ে ওয়াশিংটনে ইসরাইলের দূতাবাসের কাছে জানতে চাইলে এখনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে ইসরাইলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ওই আদেশের উদ্দেশ্য হোমেসে থাকা একটি ধর্মীয় স্কুলে ইসরাইলিদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া। ওই জায়গাটি নতুন করে গড়ে তোলার কোনও ইচ্ছা ইসরাইল সরকারের নেই বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত ভূমিতে ইসরাইলিদের থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়ারও ইচ্ছা নেই বলে জানান ইসরাইলি ওই কর্মকর্তা। এদিকে ইসরাইলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গেভির রোববার আল আকসা মসজিদে গিয়ে ঘোষণা করেন যে, ‘এর দায়িত্বে’ এখন ইসরাইল। এমন ‘উসকানিমূলক সফর’ এবং ‘সেই সঙ্গে উত্তেজনামূলক বক্তব্য’ নিয়েও ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিলার। টাইমস অব ইসরাইল।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান