পশ্চিম তীরে বড় মাত্রার সামরিক অভিযান চালাবে ইসরাইল

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৪ জুন ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

পশ্চিম তীরে বড় মাত্রার সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। এর উদ্দেশ্য পুরো অঞ্চলটিকে ‘শুদ্ধ’ করা বা দেশটির ভাষায় ‘সন্ত্রাসীমুক্ত করা’। হিব্রু সংবাদপত্র মারিভে প্রকাশিত এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। খবরে জানানো হয়, গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের হামলায় হেরমেশ বসতিতে মেইর তামারি নামের এক ইহুদি নিহত হন। এছাড়া প্রায়ই ইহুদি বসতিগুলোকে টার্গেট করে হামলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইসরাইল পশ্চিম তীরের পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে। ফিলিস্তিনিদের হামলার তীব্রতা প্রসাথে মারিভ পত্রিকার সামরিক রিপোর্টার লেভ-রাম বলেন, ইসরাইল একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপদ রয়েছে। ২০২২ সালে মোট ২০ ইসরাইলি সেনা পশ্চিম তীরে নিহত হয়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য, সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলি একটি সম্ভাব্য বড় আকারের সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মারিভের প্রতিবেদক ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী খুব সম্ভবত নাবলুস এবং জেনিন শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক আক্রমণ চালাতে পারে। কারণ এই এলাকাগুলিতেই সবথেকে বেশি যোদ্ধা লুকিয়ে আছে। তবে এখনও এই অভিযানের অনুমোদন আসেনি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। যদি এর অনুমোদন পাওয়া যায় তাহলে বেশ কয়েক দিন ধরেই এই অভিযান চলতে থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন লেভ-রাম। অভিযানের অংশ হিসেবে পশ্চিম তীর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হবে এবং বিস্ফোরক তৈরির কারখানাগুলো ধ্বংস করা হবে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ গ্রেপ্তারের প্রস্তুতিও নিচ্ছে ইসরাইল। কিন্তু লেভ-রামের মতে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী আশঙ্কা করছে যে- পশ্চিম তীরে এ ধরনের আক্রমণ চালালে গাজার সাথে ইসরাইলের নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হবে। গাজা থেকে প্রায়ই ইসরাইলে শত শত রকেট ছোঁড়া হয়। এতে ইসরাইলের মানুষের নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। এর পাল্টা জবাব দিলে আন্তর্জাতিক সমালোচনায় পড়তে হয় ইসরাইলকে। তাই পশ্চিম তীরে অভিযানের আগে আরও একবার পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করতে চাইছে দেশটি। মিডল ইস্ট মনিটর।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীদের হামলা, আহত ১০

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীদের হামলা, আহত ১০

মিশার নেতৃত্বে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ

মিশার নেতৃত্বে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ

উড়ন্ত চেলসিকে মাটিতে নামাল আর্সেনাল

উড়ন্ত চেলসিকে মাটিতে নামাল আর্সেনাল

১৭ রানও আটকাতে পারলেন না মুস্তাফিজ,ফের হারল চেন্নাই

১৭ রানও আটকাতে পারলেন না মুস্তাফিজ,ফের হারল চেন্নাই

সিলেটের মাটিতে ভারতীয় নারী ক্রিকেট টিম !

সিলেটের মাটিতে ভারতীয় নারী ক্রিকেট টিম !

বিশ্বনাথ পৌরমেয়র মুহিবকে গ্রেফতার ও অপসারণের দাবিতে ঝাড়– মিছিল

বিশ্বনাথ পৌরমেয়র মুহিবকে গ্রেফতার ও অপসারণের দাবিতে ঝাড়– মিছিল

থাইল্যান্ডে ইউএন এসকাপ-এর ৮০তম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী পলক

থাইল্যান্ডে ইউএন এসকাপ-এর ৮০তম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী পলক

মনিরামপুরে ভূমি কর্মকর্তাকে মারধর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার - ২

মনিরামপুরে ভূমি কর্মকর্তাকে মারধর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার - ২

পার্কটি সংস্কার ও উন্নত করা হোক

পার্কটি সংস্কার ও উন্নত করা হোক

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাসা থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাসা থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মাঠের বিরোধীদলের করণীয়

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মাঠের বিরোধীদলের করণীয়

ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রভাব কি বাংলাদেশে পড়ছে?

ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রভাব কি বাংলাদেশে পড়ছে?

ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা লজ্জার

ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা লজ্জার

ফজরের নামাজ কাযা হলে জুমার খুতবার পূর্বে আদায় না করতে পারলে করণীয় প্রসঙ্গে।

ফজরের নামাজ কাযা হলে জুমার খুতবার পূর্বে আদায় না করতে পারলে করণীয় প্রসঙ্গে।

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

ফরিদপুরে গ্যারেজ মিস্ত্রি হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে গ্যারেজ মিস্ত্রি হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন

বিতর্কিত সিএএ কার্যকর হলে ভারতের সংবিধান লংঘিত হবে

বিতর্কিত সিএএ কার্যকর হলে ভারতের সংবিধান লংঘিত হবে

এক কর্মচারীতে চলছে নাঙ্গলকোট মৎস্য অফিস

এক কর্মচারীতে চলছে নাঙ্গলকোট মৎস্য অফিস

২৬ ঘণ্টা পর অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ উদ্ধার ২

২৬ ঘণ্টা পর অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ উদ্ধার ২

সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা মমতার

সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা মমতার