জীবিকার খোঁজে ময়লার ভাগাড়ে সিরিয়ার শিশুরা
১৩ জুন ২০২৩, ০৮:১৫ পিএম | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩, ১২:০২ এএম
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া। টানা ১২ বছর ধরে চলছে যুদ্ধ। ক্ষমতার দম্ভ, টিকে থাকার লড়াই, নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি রাজায় রাজায় শুরু হওয়া এ ত্রিমুখী লড়াইয়ে পথে বসেছেন দেশটির নাগরিকরা। পৈতৃক বসতভিটার ভগ্নস্তূপের সঙ্গে মিশে গেছে তাদের উপার্জনের অবলম্বনও। এখন রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ছোট ছোট আবর্জনার স্তূপ, ময়লার ভাগাড়ে নিজেদর জীবিকা খুঁজছেন অসহায় সিরীয়রা। সম্প্রতি এমনই একটি পেশা বেশ রমরমা হয়ে উঠছে কর্মহীন শ্রমবাজারে প্লাস্টিক কুড়ানি ‘টোকাই’। ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ সবাই ছুটছে সিরিয়ার নতুন এ কর্মসংস্থানে। রাজধানী আলেপ্পো থেকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমঘেঁষা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবের ছোট ছোট ছিটমহল সবখানেই শুরু হয়েছে ‘প্লাস্টিক বিপ্লব’। নতুন পেশার আশা। ফেলে দেওয়া বা পরিত্যক্ত এই বর্জ্যকে কাজে লাগিয়েই আয়ের সন্ধান করছেন স্থানীয়রা। কেউ কেউ সেই ‘অমূল্য রতœ’ সংগ্রহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকছে নিজ নিজ এলাকার বিশাল বিশাল ময়লার ভাগাড়ে। কেউ আবার তা কিনে তৈরি করছে ঘর-গেরস্থালির নিত্যপ্রয়োজনীয় সব উপকরণ। পাটি, মাদুর, কার্পেটসহ নানাবিধ বাসন-কোসন। আলেপ্পো শহরের বাস্তুচ্যুত মোহাম্মদ বেলাল বেছে নিয়েছেন প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজ। গৃহযুদ্ধের সময় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তিনি। সব কিছু হারিয়ে উপায়ান্ত না দেখে শেষমেশ প্লাস্টিকে সংগ্রহের কাজকেই বেছে নেন আয়ের পথ হিসাবে। পুনর্ব্যবহারের জন্য প্লাস্টিক সংগ্রহ করেন ইদলিব প্রদেশের হেজরেহ গ্রামের একটি আবর্জনা স্তূপ থেকে। দুর্গন্ধ, পোকামাকড়, রোগের ঝুঁকি সহ্য করে খালি হাতেই আস্তাকুড় খুঁড়ে খুঁড়ে সংগ্রহ করেন প্লাস্টিকগুলো। এটাই এখন তার জীবিকা। তিনি ও তার দুই সন্তান মিলে সপ্তাহে আয় করেন ৭-১০ ডলার (১৭,৫৮৪-২৫,১২০ সিরীয় পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০৩-১০০৪ টাকা)। কঠোর পরিশ্রম হলেও তিনি বলেন, ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ, অন্তত আবর্জনা থেকে তাদের আয় আসছে।’ ভ্রাম্যমাণ টোকাই, আবর্জনার গাড়ি ও বাচ্চাদের কাছ থেকে এসব প্লাস্টিক বর্জ্য কেনেন উঠতি ব্যবসায়ী ফারহান সেøইমান। আবর্জনায় কাজ করার ফলে কলেরা বা দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সবার স্বার্থেই কাজটি অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ইদলিব প্রদেশের আরেকটি অংশের একটি কারখানায়ও তৈরি হয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক থেকে পাটি ও মাদুর। যেখানে ৩০ জনেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। কারখানার মালিক খালেদ লাশু (৩৪) বলেন, পাটি তৈরি একটি পারিবারিক ঐতিহ্য। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সোমবার বিপিএলের মিউজিক ফেস্ট, গাইবেন রাহাত ফাতেহ আলী খান
নকলায় শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংঘের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
রাবিতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকার হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ, সাময়িক অব্যাহতি
রাজশাহীতে তেলের ট্রাকে বিস্ফোরণ: ৪শ’ ব্যারেল তেল ও ৮ দোকান ভস্মীভূত
স্ত্রী পর্দা করতে না চাইলে করণীয় প্রসঙ্গে।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন
১০০ টাকা ঘুষ খেলেও চাকরি থাকবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
সংস্কার কমিশনের কাছে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান
মানিকগঞ্জে প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন ইয়াছমিন খাতুন
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতৃবিয়োগ বিভিন্ন মহলের শোক জ্ঞাপন
মির্জাপুরে নিখোঁজের পাঁচ মাস পরও খোঁজ মিলেনি
মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী