নাইজার কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন না
৩০ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:২২ এএম
নাইজারে অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর নেতাদের জরুরি বৈঠককে সামনে রেখে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির সামরিক নেতারা। বলেছেন, নাইজারে কোনও ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ তারা মেনে নেবেন না। নাইজারে অভ্যুত্থানের পর সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেনাবাহিনীকে চাপ দিতে কী করণীয় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা নাইজেরিয়ার রাজধানীতে এ বৈঠকে বসছেন। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইসিওডব্লিউএএস) এবং ৮ সদস্যবিশিষ্ট জোট ওয়েস্ট আফ্রিকান ইকোনমিক অ্যান্ড মনিটারি ইউনিয়নের নেতারা এসব জোটে নাইজারের সদস্যপদ স্থগিত করতে পারেন। তাছাড়া, আঞ্চলিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে নাইজারের সম্পর্ক ছিন্ন করা হতে পারে এবং সীমান্ত বন্ধ করা হতে পারে। নাইজারে উৎখাত হওয়া প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতায় ফেরাতে পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা প্রথমবারের মতো সামরিক হস্তক্ষেপের কথাও ভাবতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নাইজারের পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ চাদ ওই দুই আঞ্চলিক জোটের কোনোটিরই সদস্য না হওয়ার পরও দেশটিকে ইসিওডব্লিউএএস- সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে চাদের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডদের এক অভ্যুত্থানে গত সপ্তাহেই ক্ষমতাচ্যুত হন নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোম। সেনাবাহিনী এতে সমর্থন দিয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান জেনারেল আবদুরাহমানে চিয়ানি গত শুক্রবার নিজেকে নাইজারের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অভ্যুত্থানের পরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ফ্রান্স নাইজারে অর্থসহায়তা বন্ধ করেছে। নিরাপত্তা সহযোগিতাও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইইউ। ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র নাইজারের অন্তর্র্বতী সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে গরিব দেশগুলোর একটি নাইজার। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশটি ২০০ কোটি ডলার উন্নয়নে সহায়তা পায়। সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহযোগী হিসেবেও দেশটি কাজ করে। দুই দেশই পশ্চিম আফ্রিকা এবং মধ্য আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাইজারকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে। অপর এক কবরে বলা হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নাইজারে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্স ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তারা অবিলম্বে সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার নাইজারে সব ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা স্থগিত করে ইইউ। জানিয়ে দেয়, দেশটিতে আর কোনো আর্থিক সহায়তা দেবে না। এক বিবৃতিতে ‘নাইজারে সাংবিধানিক আদেশ অবিলম্বে ফিরিয়ে আনার’ আহ্বান জানায় সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স। সেখানে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের হুঁশিয়ারিও ছিল। নাইজার বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক সহায়তা পায়। গত সপ্তাহের শেষ দিকে আটক হন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম। এরপর প্রেসিডেন্ট গার্ডের নেতৃত্বদানকারী জেনারেল আব্দুরহামানে তিয়ানি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। বিবিসি, রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা
খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
পার্লামেন্টে ক্ষমা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!
লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার
মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার
সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক
গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই
সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির
স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।
আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার
ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি
বিতর্ক পরিহার করতে হবে
ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে যাবে না
নির্বাচনে হারার পর প্রথমবার জনসমক্ষে বাইডেন ও কমলা