হরিয়ানায় গুঁড়িয়ে দেয়া হল মুসলিমদের ৩০০ ঘর : আটক ১৫৬
০৮ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪১ পিএম | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের নূহ জেলায় যে সাম্প্রতিক সহিংসতা ঘটনা ঘটেছিল, তাতে সোমবার পর্যন্ত ১৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। দায়ের হয়েছে ৫৬টি এফআইআর। গ্রেফতারকৃতদের বেশিরভাগই মুসলমান বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, ওই হিংসাত্মক সংঘর্ষে ৬ জন নিহত ও ৮৮ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের প্রায় সবাই মুসলমান। তাদের পক্ষে আইনজীবী তাহির হোসেন অভিযোগ করেন, পুলিশ কোনো তদন্ত ছাড়াই নির্বিচারে লোকজনকে গ্রেফতার করছে। ‘এক বা দু’জন হিন্দু লোক থাকতে পারে তবে নূহ থেকে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের প্রায় সবাই মুসলিম,’ তিনি গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি এবং বেপরোয়া’ বলে অভিহিত করেছেন। ‘এটি একটি ভীতিকর দৃশ্য। সহিংসতার পরে, এমনকি আইনজীবীরাও এগিয়ে আসতে প্রস্তুত ছিলেন না। আসলে, একজন আইনজীবীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। পরে তিনি মুক্তি পেলেও সাধারণ মানুষের কী হবে? দরিদ্র এবং দুর্বলরা কোন সমর্থন ছাড়াই প্রাপ্তির শেষে রয়েছে,’ তিনি বলেছিলেন।
এদিকে, সহিংসতার পরেই বুলডোজার চালিয়ে সেখানকার মুসলমানদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ৩০০ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার। তবে সোমবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ৪ দিনের জন্য নুহ-তে সরকারের ‘ডেমোলিশন ড্রাইভ’-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সহিংসতার পর থেকে নুহ জেলায় বুলডোজার চালিয়ে মুসলমানদের একাধিক নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, ‘চিকিৎসা’ হিসেবে বুলডোজার চলবে। তবে এদিনের পর খাট্টার প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্ত অন্তত ৪ দিনের জন্য থমকে গেল।
সরকারের তরফে গুঁড়িয়ে দেয়ার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। কী ভাবে, ভুক্তভোগীদের কোনও আগাম নোটিস না দিয়েই এই অভিযান চালানো হল, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। অন্য দিকে, সোমবার নূহ জেলার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছিল। জেলাশাসক বলেন, ‘কারফিউ শিথিল হওয়ায় ব্যাঙ্ক এবং এটিএম বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছিল।’ তবে নাকা চেকিংয়ের কড়াকড়ি চলছেই।
জুলাইয়ের শেষ দিনে হরিয়ানার নূহ-তে অশান্তির যে দাবানল লেগেছিল, তা ছড়িয়ে যায় গুরুগ্রাম, রেওয়াড়িতে। একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়, করা হয় পাথর বৃষ্টি, ভাংচুর করা হয় দোকান। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছে ৫৬টি এফআইআর। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫৬ জনকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনচারেক আগেই নামানো হয়েছিল কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু তার পর এই ‘ডেমোলিশন ড্রাইভ’ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিলই। সূত্র : আল-জাজিরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নতুন বছর নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দশকের বৃহত্তম শীতকালীন ঝড়ের পূর্বাভাস, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টা, ৩০০ রোহিঙ্গা আটক
তড়িঘড়ি করে আর্টিকেল ৭০ তুলে দিলে এমপি কেনাবেচা শুরু হবে : রিজভী
ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগে রাশিয়ার প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি
ঢাকায় কমেছে শীতের তীব্রতা, পৌষে কাবু উত্তরাঞ্চল
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর নেহামার পদত্যাগের ঘোষণা , রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে
দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশে
কুমিল্লায় সরকারী অফিসে সিটিজেন চার্টার না থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত
সরকার পরিবর্তনের সাথে পাঠ্যবইয়ের ইতিহাস কেন বদলায়?
এবার নড়াইলে কলেজের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
আজও দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, সতর্ক থাকার পরামর্শ
সাদপন্থি শীর্ষ নেতা শফিউল্লাহ গ্রেপ্তার
ডাকসুসহ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, শিবিরকে ঘিরে বিবাদের আভাস
গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি
সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে নয়াদিল্লি, নতুন ভাসমান চৌকি স্থাপন
ঘনকুয়াশায় বন্ধ আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস
বাইডেনের স্ত্রীকে ‘সবচেয়ে দামি’ উপহার দিলেন মোদি
বাংলাদেশিদের ভিসা কমিয়ে ভারতে বিদেশি রোগী অর্ধেকে নেমেছে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান লুৎফে সিদ্দিকীর