পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির বলেছেন, বহু কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতা কিভাবে রক্ষা করতে হয় পাকিস্তান সেটা ভালোই করেই জানে। স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জনক মোহাম্মদ আলি জিন্নাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন। এর আগে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের আগমূহূর্তে রবিবার রাতে কাকুলে সামরিক ঘাঁটিতে এক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বলেন, সেনাবাহিনী ও জাতির মধ্যে বিবেধ সৃষ্টির প্রচেষ্টা কখনই সফল হবে না। খবরে বলা হয়, ভুয়া তথ্য ও গুজবে কান না দিতে পাকিস্তানি জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী ও জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির প্রচেষ্টা কখনই সফল হবে না। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের আগমূহূর্তে রবিবার রাতে কাকুলে সামরিক ঘাঁটিতে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। আজাদি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে আসিম মুনির বক্তব্যের শুরুতে বলেন, স্বাধীনতার ৭৬ বছরের পূর্তি উপলক্ষে সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জনগণকে ৭৬তম স্বাধীনতা উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেছেন, পাকিস্তান কঠিন সময় পার করছে। যার মধ্যে বন্যা, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, ভূ-রাজনীতি এবং ক্ষমতার মতো রাজনীতি রয়েছে। জেনারেল মুনির আরও বলেন, পাকিস্তান শত্রুদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা দেশকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় লিপ্ত। সেনাপ্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদেরকে সতর্ক করছি। পৃথিবীতে এমন কোনও শক্তি নেই যে পাকিস্তানকে শেষ করে দিতে পারে। বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ শত্রুদের সঙ্গে আমরা দীর্ঘসময় লড়াই করেছি। প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও করবো। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের ইচ্ছাশক্তি, ক্ষমতা এবং সামর্থ্য আছে। সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখ-তায় ত্যাগ স্বীকারে পিছপা হবে না বলে জনগণের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, গত বছর পাকিস্তনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পার্লামেন্টে ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পেছনে সেনাবাহিনীকে দায়ী করে আসছেন তিনি। দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর তার সমর্থকেরা সেনা অবকাঠামোয় ভাঙচুর চালায়। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে দেশটির রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।জিও নিউজ, ডন।