অর্থনীতির গতি ফেরাতে যা করছে চীন
১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১৮ পিএম | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৭ এএম
২০২১ সালের পর প্রথমবার মূল্য সংকোচন (ডিফ্লেশন) দেখল চীন। গত সপ্তাহে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটি। সর্বশেষ সূচক বলছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি মন্দা ভাবের দিকে যাচ্ছে। মন্দা পরিস্থিতি ঠেকাতে বেইজিং কীভাবে কাজ করছে সে বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাপান টুডে। এক যুগ আগে যখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট চলছিল, ওই সময়ে চীন ৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের (বর্তমান মূল্যে ৫৫ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার) এক বিশাল উদ্দীপনামূলক পরিকল্পনা ঘোষণা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর ও উচ্চগতির ট্রেন লাইনসহ অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়। অন্যদিকে, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ও ক্রমবর্ধমান ঋণের ঝুঁকিও তৈরি হয়েছিল। ম্যাককোয়ারির অর্থনীতিবিদ ল্যারি হুর মতে, বর্তমানে চীন তার অর্থনীতিকে স্বাভাবিক করতে আগ্রহী। তাই বেইজিং এখন ব্যাপক ও ব্যয়বহুল উদ্দীপনা পরিকল্পনার চেয়ে টার্গেটেড বা নির্ধারিত ব্যবস্থা নিতেই বেশি আগ্রহী। জুলাইয়ে সরকার বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি ও গৃহস্থালি জিনিসপত্র কেনায় উৎসাহিত করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় বড় ধরনের উৎসব ও ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর পাশাপাশি ক্যাটারিং এবং স্বাস্থ্যসেবাসংক্রান্ত পরিষেবাগুলোয় খরচ বাড়াতে চীন বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে। তবে এতেই সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করেন চীনকেন্দ্রিক গবেষণা সংস্থা ট্রিভিয়ামের বিশ্লেষকরা। এক নোটে তারা লিখেছেন, ভোক্তারা ব্যয় বাড়াচ্ছেন না। কারণ অর্থনৈতিক অবস্থা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং তাদের উপার্জন বৃদ্ধির হার অনেকটাই কমেছে। দেশটির কভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গতি হারাচ্ছে। প্রতি পাঁচজন যুবকের মধ্যে একজন বেকার এবং কঠিন পরিস্থিতির কারণে পরিবারগুলো আগের চেয়ে খরচ কমিয়ে এনেছে। ট্রিভিয়ামের বিশ্লেষকরা লিখেছেন, যতক্ষণ না এ দুই সমস্যার সমাধান হবে, ততক্ষণ ব্যয় প্রবণতা কার্যকরভাবে বাড়বে না। কাগজে-কলমে দাম কমে যাওয়াকে ক্রয়ক্ষমতার জন্য ভালো বলে মনে হলেও মুদ্রা সংকোচন দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। খরচ করার পরিবর্তে ভোক্তারা তখন কম দামের আশায় ক্রয় স্থগিত করে। ফলে চাহিদা কমে যাওয়ায় কোম্পানিগুলো উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। মিজুহো ব্যাংকের বিশ্লেষক কেন চেউংয়ের মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় চাকরি হারানো ও বেতন কমার সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণে পরিবারগুলো বড় খরচের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। আবাসন, দোকান, কারখানা বা গুদাম ইজারা দেয়া কোম্পানিগুলো (ব্রিকস অ্যান্ড মর্টার) যেকোনো দেশের অর্থনীতির একটি স্তম্ভ। সম্পদ বাড়াতে খাতটিতে দীর্ঘকাল ধরে মধ্যবিত্ত চীনারা বিনিয়োগ করে আসছে। এখন বিপুলসংখ্যক ডেভেলপাররা আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। ফলে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী ও ক্রেতাদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। জাপান টুডে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যে আইন বাংলাদেশে চলে, সেই আইনে পার্বত্য অঞ্চলেও চলবে -কুমিল্লার সমাবেশে ফয়জুল করিম চরমোনাই
সীতাকু-ের বিতর্কিত সাবেক সহকারী কমিশনার চট্টগামের এডিসি হলেন
ফরাজীকান্দি নেদায়ে ইসলাম ওয়েসীয়ান ছাত্রদের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা.) উপলক্ষে আনন্দ র্যালি
ব্রুনাইয়ে ভবন থেকে পড়ে গফরগাঁওয়ের প্রবাসী নিহত
গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ
মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে
ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী
ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১
যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক আওয়ামী লীগ তা কখনও চায়নি : শিমুল বিশ্বাস
এনপি জনগণকে নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম ডাঃ জাহিদ হোসেন,
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে আওয়ামীলীগের পাঁচ নেতা গ্রেপ্তার