একবিংশ শতাব্দীতে ১৮ শতকের জীবন কাটাচ্ছে লক্ষাধিক শিশু

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২১ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০০ পিএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম

জ্বালানি, খাদ্য ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাবে জীবনযাত্রার মানে ভয়ংকর পতন ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। বিশেষ করে ব্রিটেনের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত সমাজে। ফলে দারিদ্র্যসীমার চরম নিচে পড়ে মানবেতর দিন কাটছে এসব পরিবারের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিশুর। ক্ষুধার পাশাপাশি বাড়ছে তাদের মানসিক চাপও। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পরিবারই শিশুদের মৌলিক চাহিদাগুলোই পূরণ করতে পারছে না। দৈনন্দিন খাবার, বাসাভাড়া, ইন্টারনেট সুবিধা এমনকি ঘরের জন্য বাতিও কিনতে পারছে না কেউ কেউ।ক্ষুধার্ত, দুর্গন্ধযুক্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লান্ত শিশুরা শ্রেণিকক্ষে মন দিতে পারছে না। সঙ্গত কারণেই চরম ব্যাঘাত ঘটছে তাদের পড়ালেখায়। নতুন প্রজন্মের এমন বেহালে দেশটির ‘ভবিষ্যৎ অন্ধকার’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে জরিপটিতে। যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশে ২০২৩ সালে এমন করুণ পরিস্থিতি অবিশ্বাস্য। ১,২৪০ জন কর্মী-কর্মকর্তার এই জরিপে দেখা যায়, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং উত্তর স্কটল্যান্ডজুড়ে প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু অত্যন্ত দারিদ্র্যে দিন কাটাচ্ছে। জরিপের এক কর্মকর্তা জানান, কিছু কিছু শিশু জানিয়েছে-স্কুলে তাদের কোনো বন্ধু নেই এবং বাইরের কোনো আগ্রহ নেই। তারা একটি ঠান্ডা, অন্ধকার বাড়িতে সময় কাটায়। যখন আমি এ কথাগুলো শুনছিলাম তখন ১৮০০ সালের গল্পের মতো লাগছিল। এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর যে, যুক্তরাজ্যে ২০২৩ সালে এমন শিশুরা বাস করছে।’ বাটল ইউকে-এর প্রধান নির্বাহী জোসেফ হাউস বলেছেন, ‘শিশু ও যুবক-যুবতীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে লাখ লাখ শিশুকে দারিদ্র্যের ধ্বংসাত্মক কবল থেকে বের করে আনতে এখনই পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।’ একজন সরকারি মুখপাত্র বলেছেন, ‘২০১০ সাল থেকে দারিদ্র্যের মধ্যে ৪০০,০০০ কম শিশু বাস করছে। তবে আমরা জানি মুদ্রাস্ফীতির পরিবারের বাজেটকে চাপের মুখে ফেলছে।’ প্রতিবেদন জানা যায়, প্রায় ৫৭ শতাংশ পরিবার পর্যাপ্ত খাদ্য ও পুষ্টির অভাবে ভুগছে। গ্যাস এবং বিদ্যুতের সামর্থ্য নেই ৫৮ শতাংশ পরিবারের। মৌলিক আসবাবপত্র যেমন-বেড, সোফা এবং যন্ত্রপাতির নেই ৬৩ শতাংশ মানুষের শিক্ষা বা কর্মসংস্থানের জন্য আইটি সরঞ্জাম নেই ৬৫ শতাংশ বাড়িতে এবং কিছু ৪৯ শতাংশ পরিবার তাদের বাসাভাড়া বহন করতে সক্ষম নয়। গার্ডিয়ান।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক

মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন

কানাডা এবং গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে নজর রাখছে রাশিয়া

কানাডা এবং গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে নজর রাখছে রাশিয়া