সউদীর সঙ্গে শান্তি চাইলে অবশ্যই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রসঙ্গ থাকতে হবে

পশ্চিম তীর ও গাজাকে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইলের নতুন মানচিত্র

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম

এবার অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা ইসরাইলের অংশ দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় মানচিত্রটি উপস্থাপন করেন তিনি। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাষণ দেওয়ার সময় মধ্যপ্রাচ্যের দুটি মানচিত্র দেখান নেতানিয়াহু। প্রথমটি ইসরাইল রাষ্ট্র সৃষ্টির বছর ১৯৪৮ সালের। আর পরেরটিকে তিনি আখ্যা দেন নব্য মধ্যপ্রাচ্য নামে। সেখানে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকাকে ইসরাইলের অংশ দাবি করা হয়। এর পরপরই এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নেতানিয়াহু ও বাইডেন সাইডলাইনে বৈঠক করেন। বৈঠকে বৈরিতা ভুলে সউদী আরবের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাব্য একটি চুক্তি নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের বিরোধ মেটাতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতিও সমর্থন দেন তিনি। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইসরাইল এবং সউদী আরবের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে বলে জানান নেতানিয়াহু। এর পরপরই ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সউদী যুবরাজও জানান ধীরে ধীরে ইসরাইলের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনছেন তারা। যদিও রিয়াদ-তেল আবিব সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ক্ষেত্রে ফিলিস্তিন ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি। অপর দিকে, সউদী আরব বলেছে, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের যেকোনো সমাধানে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যার রাজধানী হবে ‘পূর্ব জেরুজালেম’। সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ শনিবার রাতে জাতিসংঘসাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ কথা বলেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরাইল ও সউদী আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের’ ধারণার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর মধ্যে সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন। জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে ফিলিস্তিনিদের ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নেতানিয়াহু। আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাতে তিনি এই ধরনের শান্তি চুক্তি সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ফিলিস্তিনিদের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সিএনএন ও ফক্স নিউজের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যদি তিনি ছাড় দিতে রাজি হন, তাহলে তিনি বিশ্বাস করেন যে, তার কট্টর ডানপন্থী দলের সদস্যরাও তা অনুসরণ করবেন। সিএনএন-এর ক্যাটলান কলিন্স নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি সউদী আরবের সাথে এই চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য আপনার জোটকে ভেঙে দিতে ইচ্ছুক? জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, আমি মনে করি না যে এর (জোট ভাঙার) প্রয়োজন হবে। ওই সাংবাদিক ফের প্রশ্ন করেন, আপনি কি মনে করেন যে তারা এটির (ফিলিস্তিনকে ছাড় দেওয়া) সাথে যাবে? নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি ছাড় দেই কিনা সেটিই বিষয়।’ উল্লেখ্য, এর আগে নেতানিয়াহুর জোটের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, ফিলিস্তিনকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আল-জাজিরা, সিএনএন, ফক্স নিউজ।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইবির আইন প্রশাসক হলেন ড. নুরুন নাহার

ইবির আইন প্রশাসক হলেন ড. নুরুন নাহার

নাটকীয় জয়ে রংপুরের সাতে সাত

নাটকীয় জয়ে রংপুরের সাতে সাত

নতুন ফেসবুক পেইজের ঠিকানা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন

নতুন ফেসবুক পেইজের ঠিকানা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন

ভক্তদের হঠাৎ কি বার্তা দিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর?

ভক্তদের হঠাৎ কি বার্তা দিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর?

পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কারামুক্ত

পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কারামুক্ত

ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের জন্যই ৩১ দফা কার্যকর প্রয়োজন: আমিনুল হক

ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের জন্যই ৩১ দফা কার্যকর প্রয়োজন: আমিনুল হক

বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত

বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত

হাসিনার এপিএস লিকুর ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, দুদকের ৪ মামলা

হাসিনার এপিএস লিকুর ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, দুদকের ৪ মামলা

মারের কোচিংয়ে জোকোভিচের প্রথম জয়

মারের কোচিংয়ে জোকোভিচের প্রথম জয়

উত্তরখানে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার

উত্তরখানে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার

মাত্র ৯৫ দিনে মুহিব্বুল মুরসালিন খানের পবিত্র কুরআন হিফয সম্পন্ন

মাত্র ৯৫ দিনে মুহিব্বুল মুরসালিন খানের পবিত্র কুরআন হিফয সম্পন্ন

চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

হাজীগঞ্জে ননদ ভাবির ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু

হাজীগঞ্জে ননদ ভাবির ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু

মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি

মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি

নতুন বছরে টেকনোর অসাধারণ অফার

নতুন বছরে টেকনোর অসাধারণ অফার

‘১৫ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ'র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সফল করুন’

‘১৫ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ'র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সফল করুন’

মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড

বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড

স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করার আগে স্ত্রী মারা যাওয়া প্রসঙ্গে।

স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করার আগে স্ত্রী মারা যাওয়া প্রসঙ্গে।

দাম কমল বিকনলিংক ফিচারযুক্ত অপো ফোনের

দাম কমল বিকনলিংক ফিচারযুক্ত অপো ফোনের