গাজায় ভূমি দখলের ছক এঁকেছে ইসরাইল
১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
হাজার হাজার সৈন্য নিয়ে গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইসরাইল। তাদের লক্ষ্য, গাজা সিটি দখল করে নেওয়া এবং উপত্যকার বর্তমান শাসক হামাসের নেতৃত্বকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করা। তিনজন জ্যেষ্ঠ ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। শনিবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের পর ইসরাইলের জন্য এটাই হবে সবচেয়ে বড় স্থল অভিযান। পাশাপাশি, ২০০৮ সালের পর এই প্রথমবার গাজার ভূমি দখলের (সাময়িক সময়ের জন্যে হলেও) চেষ্টা করছে ইসরাইলি বাহিনী, বলেছেন ওই তিন কর্মকর্তা। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়নি। তবে ইসরাইলি সৈন্যদের কয়েকটি দল গত শুক্রবার উপত্যকায় প্রবেশ করেছিল এবং সৈন্যরা স্থল অভিযানের জন্য প্রস্তুতি বাড়িয়েছে বলে স্বীকার করেছে আইডিএফ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় স্থল অভিযান ‘সহজতর’ করার লক্ষ্যে সন্দেহভাজনদের দিকে গুলি চালানোর আগে তল্লাশির বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। অর্থাৎ, কাউকে সন্দেহ হলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তার দিকে গুলি চালাতে পারবে ইসরাইলি সৈন্যরা। তারা জানিয়েছেন, এই সপ্তাহান্তেই (শনি-রোববার) গাজায় অভিযান শুরুর পরিকল্পনা ছিল ইসরাইলের। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ায় ইসরাইলি পাইলট ও ড্রোন অপারেটরদের জন্য স্থল সৈন্যদের সাহায্য করা কঠিন হয়ে যাওয়ায় অভিযান পিছিয়ে দেওয়া হয়। গাজায় অভিযানে সৈন্যদের পাশপাশি ইসরাইলি বাহিনীতে থাকবে বিপুল সংখ্যক ট্যাংক, স্যাপার ও কমান্ডো। আকাশপথে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোনের সাহায্যে সুরক্ষা দেওয়া হবে সৈন্যদের। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি শনিবার বলেছেন, তাদের লক্ষ্য হামাসকে ধ্বংস ও তার নেতাদের নির্মূল করা। ইসরাইলি হামলায় এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। ইসরাইলের স্থল অভিযানে চিরতরে ঘরছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছেন বহু ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, তারা যথাসম্ভব বেসামরিক প্রাণহানি এড়ানোর চেষ্টা করছে। এ জন্য গাজা সিটির বাসিন্দাদের উপত্যকার দক্ষিণ অংশে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত এক সপ্তাহে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০০ জনেরও বেশি শিশু। এমনকি উত্তর গাজা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেরোনো মানুষদের ওপরও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবারের ওই হামলা নিহতদের একটি বড় অংশই ছিল শিশু ও নারী। নিউইয়র্ক টাইমস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি
আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩
বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না
দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও
খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার
জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান
ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা
মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ
কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত
চার্টার্ড নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা