ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিজেদের ‘শেষ যুদ্ধ’ পরিচালনা করছে ইসরাইল, যার লক্ষ্য হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করা। মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিশাসিত এই ভূখ-ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত মনে করেন, যদি এই লক্ষ্য পূরণ হয়- সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে গাজায় আর যুদ্ধ চালানোর প্রয়োজন হবে না ইসরাইলের। রোববার ইসরাইলের একটি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন গ্যালান্ত। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গাজায় সম্ভবত এটাই আমাদের শেষ যুদ্ধ; কারণ হামাস যদি নিশ্চিহ্ন হয়- সেক্ষেত্রে সেখানে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আর কোনো কারণ আমাদের থাকবে না।’ ‘এই যুদ্ধ একমাস, দু’মাস কিংবা তিন মাস স্থায়ী হতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হামাসকে আমাদের চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করতেই হবে।’ গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরাইলের উত্তরাংশে ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। সেদিন কয়েকশ’ হামাস যোদ্ধা বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরাইলের প্রবেশ করেন, শত শত ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের হতাহত করেন এবং ইসরাইল থেকে ২ শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যান। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরাইলি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা রয়েছেন এবং তাদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। হামাসের এই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলের বিমান বাহিনী, (আইএএফ) যা এখনও চলছে। গত ১৭ দিনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইসরাইলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক এবং গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ হাজার ৭০০ জনে। হামাসের নেতারা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধ শুরু করেছেন তারা। অন্যদিকে ইসরাইলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামাস যতদিন টিকে থাকবে- ততদিন যুদ্ধের ময়দানে থাকবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এএফপি।