গাজায় ৫০ হাজার গর্ভবতী নারীর জীবন ঝুঁকিতে
৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকায় ইতোমধ্যে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অঞ্চলটিতে ইসরাইলের আরোপিত অবরোধের পরিণতি হিসাবে মৃত্যু হবে আরও অনেকের। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউ) কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি শনিবার এ সতর্কতা জারি করেছেন। পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত ইউএনআরডব্লিউর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে বসে কথা বলছি আর একই সময়ে গাজায় অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। ইসরাইলের অবরোধের পরিণত হিসেবে আরও অনেক মানুষের মৃত্যু হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় মৌলিক পরিষেবাগুলো ভেঙে পড়ছে। ওষুধ ফুরিয়ে যাচ্ছে। নর্দমার পানি উপচে পড়ছে রাস্তায়। স্বাস্থ্য সমস্যার হুমকিতে আছেন বাসিন্দারা। বাড়ছে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি।’ জ্বালানি সরবরাহ না পেলে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘অবরোধের অর্থ হলো খাদ্য, পানি, জ্বালানিসহ সব মৌলিক পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে সম্মিলিত শাস্তি দেওয়া। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ আর ইউএনআরডব্লিউর জন্য দুঃখজনক হয়ে উঠছে প্রতিটি দিন। আমাদের সহকর্মীদের নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। আজও অন্তত ৫৭ জন সহকর্মীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। যাদের শুধু একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।’ কমিশনার জেনারেল হিসাবে সংহতি প্রকাশ, স্থানীয় সম্প্রদায় আর কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে গাজা সফর করতে চান বলে জানান লাজারিনি। গাজায় ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে বলে একই দিনে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মাই আলকাইলা। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের দখলদার বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে, চিকিৎসাকেন্দ্র ও অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস করেছে, হাসপাতাল পরিচালনার প্রয়োজনীয় জ্বালানি বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি স্বেচ্ছাসেবক চিকিৎসকদেরও প্রবেশে বাধা দিচ্ছে তারা।’ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ঘোষিত ‘সম্প্রসারিত স্থল অভিযানে’ শিশুরা জীবনহানি, শারীরিক ক্ষতি, গুরুতর মানসিক যন্ত্রণা ও দীর্ঘস্থায়ী বাস্তুচ্যুতির উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেসন লি এ কথা বলেছেন। একইভাবে ইসরাইলের বোমা হামলা আর পরপর আক্রমণে ঝুঁকিতে পড়েছে গর্ভবতী নারীদের জীবন। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল অনুমান অনুযায়ী, গাজায় বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী রয়েছেন। যাদের মধ্যে ১০ শতাংশই আগামী নভেম্বরে সন্তান প্রসব করতে পারেন। ভয়, আতঙ্ক আর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে অনেকের গর্ভপাত, অকাল প্রসব অথবা জীবন হারানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। শরণার্থী শিবিরগুলোতেও তাদের জন্য নেই কোনো স্বাস্থ্যসেবা। আল-জাজিরা, বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সালথা উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন বহিষ্কার
হোক না সবার সুপারনিউমেরারি পদোন্নতি, কর্মক্ষেত্রে আসুক গতি
জামিনে এসে হত্যা মামলার সাক্ষীসহ ৫ জনকে কুপিয়েছে প্রধান আসামি
সীমান্তে ভারত উত্তেজনা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: ইসলামী আন্দোলন
কলম্বিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬০
প্রতিযোগিতায় যারা টিকে থাকবে তারাই গ্রহণযোগ্য সাংবাদিক হবে
কাঁটাতার পেরিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ভারতীয় গৃহবধূ
জাতির সংকট উত্তরণে সর্বদা মানুষের আস্থা ও ভরসাস্থল জিয়া পরিবার : মীর হেলাল
স্বৈরাচার মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে বিএনপি সবকিছু নতুনভাবে শুরু করতে চায়: আমিনুল হক
গুলি করা পুলিশের শাস্তি নয়, চিকিৎসকের গ্রেফতার ফ্যাসিবাদের উদাহরণ - ডা. রফিকুল
ফেনীতে সিক্সার্স ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে ছাগলনাইয়া উপজেলা দল চ্যাম্পিয়ন
দৌলতপুর সরকারি প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
গোপালগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করণে জেলা প্রশাসকের ব্যতিক্রম আয়োজন
সৈয়দপুরে শহিদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালন
বিশ্বনাথের চাউলধনী হাওরে সীমানা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত
স্বভাবী চোরের শাস্তি ইসলামেই নির্ধারিত - পীর সাহেব চরমোনাই
‘সীমান্তে গন্ডগোল শুরু হয়েছে, জীবন বিপন্ন হলেও দেশের সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ন রাখবো’
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী: সরকারের নতুন পদক্ষেপে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ সম্ভাবনাময়
আলজেরিয়ায় কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ তাওহিদুলের দেশত্যাগ
লামায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষীকি পালিত