বাইডেনের বক্তৃতায় বাধা, গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি ইহুদি নারীর
০৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ এএম
ইহুদি ধর্মীয় আইনের এক শিক্ষক বাইডেনের বক্তৃতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি চাই, আপনি এখনই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন।’ ইহুদি ধর্মীয় আইনের শিক্ষক জেসিকা রোজেনবার্গ বাইডেনের বক্তৃতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলেন, জনাব প্রেসিডেন্ট, আপনি ইহুদি লোকজনের দিকে খেয়াল রাখেন। একজন ইহুদি রাব্বি হিসেবে আমি চাই, আপনি এখনই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন। উপস্থিত অনেকে রোজেনবার্গকে থামতে ও বসে পড়তে বলেন, আর বাইডেন তার দাবির জবাবে বলেন, আমার মনে হয় একটা বিরতি দরকার। খবরে বলা হয়, এ সময় রোজেনবার্গ আবার বাইডেনের কথায় বাধা দিয়ে বলেন, “বিরতি। কিসের বিরতি?” উত্তরে বাইডেন বলেন, “বিরতির মানে বন্দিদের বের করার জন্য সময় দেওয়া।” এরপর রোজেনবার্গকে সমাবেশস্থল থেকে জোর করে বের করে নিয়ে যাওয়া হতে থাকলে তিনি চেঁচিয়ে বলেন, “এখনই যুদ্ধবিরতি চাই।” শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বাইডেন বলেন, “আমি এই আবেগ বুঝতে পারছি।” শ্রোতারা হাততালি দিয়ে বাইডেনকে স্বাগত জানান এবং প্রতিবাদকারী রোজেনবার্গকে তিরস্কার করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। পরে হোয়াইট হাউজ জানায়, ‘বন্দি’ বলতে বাইডেন হামাসের হাতে বন্দি ২৪০ জন ‘জিম্মি’ কে বুঝিয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মীরা রোজেনবার্গকে পাহারা দিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময়ও তিনি ‘এখনই যুদ্ধবিরতি চাই’ বলতে থাকেন। আর বাইডেন বলেন, ইসরাইল ও মুসলিম বিশ্ব উভয় দিকেই পরিস্থিতি ‘অবিশ্বাস্যরকম জটিল’ হয়ে আছে। “আমি দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধান সমর্থন করি, অনেক আগে থেকেই। ঘটনা হচ্ছে হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। স্পষ্টতই একটি সন্ত্রাসী সংগঠন,” ইসরাইলকে সমর্থন করে বলেন তিনি। ৭ অক্টোবর হামাসের ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গাজার সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে সবাইকে হতবাক করে দেয়। ইসরাইল জানিয়েছে, এই হামলায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছে যাদের অধিকাংশ বেসামরিক আর হামাসের যোদ্ধারা ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রেখেছে। এরপর থেকে হামাসকে নির্মূল করার প্রত্যয় নিয়ে গাজায় স্থল, জলপথ ও আকাশপথে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় গাজায় ৩৬৪৮ শিশুসহ অন্তত ৮৭৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের প্রথম কয়েক ঘণ্টায়ও গাজা নগরীর আল-কুদস হাসপাতালের আশপাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে। এই হাসপাতালকে সতর্ক করে এখান থেকে অবিলম্বে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে গেলে রোগীদের জীবন বিপন্ন হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। রয়টার্স, সিএনএন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এমবাপ্পের জোড়া গোলে জিতে শীর্ষে রিয়াল
ব্রাইটনের বিপক্ষেও বিপর্যস্ত ইউনাইটেড
‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই
নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের
রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা
পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি
বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব
এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার
কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান
বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল
নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।
কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ
বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়
সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে