তাঞ্জানিয়ায় করা অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছে জার্মানি
০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ায় ঔপনিবেশিক আমলে করা নৃশংসতার জন্য জার্মানির প্রেসিডেন্ট ‘লজ্জা’ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। ১৯০৫ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত দুই বছর ধরে চলা মাজি মাজি বিদ্রোহের সময় জার্মানির বাহিনী প্রায় তিন লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল। এটি সবচেয়ে রক্তাক্ত উপনিবেশবিরোধী বিদ্রোহগুলোর মধ্যে একটি। তাঞ্জানিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রুভুমা অঞ্চলের রাজধানী সোনগেয়ার মাজি মাজি জাদুঘরে বক্তৃতা করার সময় প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাইটা স্টাইনমায়ার বলেন, “এখানে আপনাদের পূর্বসূরীদের সঙ্গে জার্মানরা যা করেছিল তার জন্য আমি ক্ষমা চাই। এখানে যা ঘটেছিল তা আমাদের যৌথ ইতিহাস, আপনাদের পূর্বসূরীদের ইতিহাস আর আমাদের জার্মানির পূর্বসূরীদের ইতিহাস।” তাঞ্জানিয়ার সোনগেয়াতেই মাজি মাজি বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিল। রপ্তানির লক্ষ্যে তুলা চাষের জন্য স্থানীয়দের বাধ্য করার এক জার্মান নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল রুভুমা অঞ্চলের বাসিন্দারা। তাঞ্জানিয়া তখন জার্মান ইস্ট আফ্রিকার অংশ ছিল। বর্তমান রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি ও মোজাম্বিকের কিছু অংশও তখন এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার বলেন, তিনি আশা করেন তাঞ্জানিয়া ও জার্মানি অতীতের ‘সাম্প্রদায়িক প্রক্রিয়াকরণ’ এর বিষয়ে কাজ করতে পারবে। মাজি মাজি গণহত্যার ইতিহাস যেন তার দেশের লোকজন আরও বেশি করে জানতে পারেন তার জন্য তিনি ‘এসব ইতিহাস জার্মানিতে নিয়ে যাবেন’ বলে প্রতিশ্রুতি দেন স্টাইনমায়ার। তাঞ্জানিয়ায় তিন দিনের এই সফরের অংশ হিসেবে স্টাইনমায়ার মাজি মাজি নেতাদের অন্যতম সর্দার সোনগেয়া বানোর উত্তরসূরীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৯০৬ সালে যাদের হত্যা করা হয়েছিল সর্দার বানোও তাদের মধ্যে ছিলেন। বানোকে এখন তাঞ্জানিয়ার জাতীয় বীর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ছাগলনাইয়া উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির কমিটি গঠন
বাগেরহাটে এ্যাথলেটিক প্রতিযোগীতা ও গ্রামীন খেলা অনুষ্ঠিত
গাজা পুনর্গঠনে কার হাতে থাকবে প্রশাসনিক দায়িত্ব ?
রামগড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৫টি ইটভাটায় জরিমানা
এখনো দেশে সাড়ে ৩৩ হাজার অবৈধ বিদেশি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কম মূল্যে জমি বিক্রি না করায় দাউদকান্দিতে ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ
মুক্ত তিন ইসরাইলি জিম্মিকে যে ‘উপহারের ব্যাগ’ দিলো হামাস
জেরায় অবশেষে দোষ স্বীকার সাইফের হামলাকারীর
ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা
বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ
বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান
গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২
ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক
পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ
আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ
সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!
গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ
গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা
গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের