ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

তাঞ্জানিয়ায় করা অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছে জার্মানি

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ায় ঔপনিবেশিক আমলে করা নৃশংসতার জন্য জার্মানির প্রেসিডেন্ট ‘লজ্জা’ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। ১৯০৫ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত দুই বছর ধরে চলা মাজি মাজি বিদ্রোহের সময় জার্মানির বাহিনী প্রায় তিন লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল। এটি সবচেয়ে রক্তাক্ত উপনিবেশবিরোধী বিদ্রোহগুলোর মধ্যে একটি। তাঞ্জানিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রুভুমা অঞ্চলের রাজধানী সোনগেয়ার মাজি মাজি জাদুঘরে বক্তৃতা করার সময় প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাইটা স্টাইনমায়ার বলেন, “এখানে আপনাদের পূর্বসূরীদের সঙ্গে জার্মানরা যা করেছিল তার জন্য আমি ক্ষমা চাই। এখানে যা ঘটেছিল তা আমাদের যৌথ ইতিহাস, আপনাদের পূর্বসূরীদের ইতিহাস আর আমাদের জার্মানির পূর্বসূরীদের ইতিহাস।” তাঞ্জানিয়ার সোনগেয়াতেই মাজি মাজি বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিল। রপ্তানির লক্ষ্যে তুলা চাষের জন্য স্থানীয়দের বাধ্য করার এক জার্মান নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল রুভুমা অঞ্চলের বাসিন্দারা। তাঞ্জানিয়া তখন জার্মান ইস্ট আফ্রিকার অংশ ছিল। বর্তমান রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি ও মোজাম্বিকের কিছু অংশও তখন এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার বলেন, তিনি আশা করেন তাঞ্জানিয়া ও জার্মানি অতীতের ‘সাম্প্রদায়িক প্রক্রিয়াকরণ’ এর বিষয়ে কাজ করতে পারবে। মাজি মাজি গণহত্যার ইতিহাস যেন তার দেশের লোকজন আরও বেশি করে জানতে পারেন তার জন্য তিনি ‘এসব ইতিহাস জার্মানিতে নিয়ে যাবেন’ বলে প্রতিশ্রুতি দেন স্টাইনমায়ার। তাঞ্জানিয়ায় তিন দিনের এই সফরের অংশ হিসেবে স্টাইনমায়ার মাজি মাজি নেতাদের অন্যতম সর্দার সোনগেয়া বানোর উত্তরসূরীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৯০৬ সালে যাদের হত্যা করা হয়েছিল সর্দার বানোও তাদের মধ্যে ছিলেন। বানোকে এখন তাঞ্জানিয়ার জাতীয় বীর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিবিসি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা