গাজার ৩২৫টি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ২০০টিই ধ্বংস করেছে ইসরাইল
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম
৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ধ্বংসাত্মক আক্রমণ পরিচালনাকালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ৩২৫টির মধ্যে ২শ’রও বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক ও প্রাচীন স্থান ধ্বংস করেছে। ছিটমহলের কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছে। গাজা মিডিয়া অফিস বলেছে যে, সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে মসজিদ, প্রাচীন গীর্জা, স্কুল, জাদুঘর এবং অন্যান্য বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং স্মৃতিস্তম্ভ।
গাজা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সেনাবাহিনীর হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো ফিনিশিয়ান এবং রোমান যুগের; অন্যগুলো ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১,৪০০ সালের মধ্যেকার। অন্যগুলো ৪০০ বছর আগে নির্মিত’।
গ্রেট ওমারি মসজিদ, জাবালিয়ায় বাইজেন্টাইন গির্জা, গাজার মধ্য অবরুদ্ধ দেইর আল বালাহ শহরের আল-খাদিরের মাজার এবং উত্তর-পশ্চিম গাজা শহরের ব্লাখিয়া বাইজেন্টাইন কবরস্থান [ফিলিস্তিনের অ্যানথেডন] ছিল। তারা উল্লেখ করেছে যে গ্রীক অর্থোডক্স সেন্ট পোরফিরিয়াস চার্চ, ৪০০ বছরের পুরানো আল-সাক্কা হাউস এবং সাইয়েদ আল-হাশিম মসজিদসহ অন্য সাইটগুলো গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা গাজার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি।
ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনি ঐতিহ্য ধ্বংস : জেনেভা-ভিত্তিক অধিকার গোষ্ঠী ইউরো-মেড মনিটর ২০ নভেম্বর বলেছে যে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে অবরুদ্ধ গাজায় প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো ধ্বংস করেছে এবং এটি ‘স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লক্ষ্যবস্তু’ করার অভিযোগ করেছে।
গাজা একটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক শহর যেটি প্রাচীন মিসরীয় [ফেরাউন], গ্রীক, রোমান, বাইজেন্টাইনরা তারপর ইসলামী যুগসহ বিভিন্ন সাম্রাজ্য এবং সভ্যতার শাসনের অধীনে এসেছিল। ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত বিস্ময়কর বিস্ফোরণের পর থেকে ইসরাইল অবরুদ্ধ ছিটমহলটিতে অবিরাম আক্রমণ চালিয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যে অন্তত ২১ হাজার ৬৭২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যা গাজার জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ এবং ৫৫ হাজার ৯১৫ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ধ্বংসপ্রাপ্ত আশপাশের ধ্বংসস্তূপে আরো হাজার হাজার লাশ চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, ছিটমহলের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে এবং খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইসরাইলি বোমাবর্ষণে বেসামরিক লোকের মৃত্যু এবং গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ একটি ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ভাবমর্যাদা তার মিত্র ইসরাইলের জন্য অব্যাহত সমর্থনের জন্য মার খেয়েছে। সূত্র : টিআরুিট ওয়ার্ল্ড।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ
নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’
পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত
গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিন জেলাসহ সাত বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
দুই দিনেই পরাজয়ের ধ্বনি শুনছে বাংলাদেশ
ছাত্রআন্দোলনে শহীদ ছাত্রদলনেতা ওয়াসিমের কবর জিয়ারতে কেন্দ্রীয় নেতারা
অনেক সচিবসহ কর্মকর্তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছে:রিজভী
রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ফিরে আসছে: উপদেষ্টা নাহিদ
কমলা হ্যারিস জিতলে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার হুমকি প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ারেন বাফেটও: ইলন মাস্ক
বান্দরবানের রুমায় অস্ত্র গোলাবারুদ জ্যামার উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ছুটির দিনেও চলছে মেট্রো
বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ ও বিচারের দাবীতে খুলনায় মানববন্ধন
শেখ হাসিনার দলবলকে আগলে রেখেছে বর্তমান প্রশাসন: সেলিমা রহমান
রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ জনে
অনতিবিলম্বে ভিসি নিয়োগ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী ইবি শিক্ষার্থীদের