আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং এর মিত্রদের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছে, কারণ ‘গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের প্রায় ৯০ শতাংশ মনোনয়ন’ পেতে ব্যর্থ হয়েছে। যাচাই-বাছাই অনুশীলন শনিবার শেষ হয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করতে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও, পিটিআই প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ট্রাইব্যুনালে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত যেতে হবে। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালগুলো এসব আপিলের ওপর রায় দিতে পারবে। যে সকল প্রার্থীর কাগজপত্র বাতিল করা হয়েছিল তাদের বেশিরভাগই পিটিআই-এর, যারা পক্ষে থেকে বেরিয়ে গেছে এবং ৯ মে দাঙ্গায় জড়িত থাকার জন্য আইনের পূর্ণ শক্তির মুখোমুখি হচ্ছে। এর সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং প্রধান সহযোগী শাহ মেহমুদ কুরেশি অন্যদের মধ্যে কারাবন্দী বা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছেন। পেশোয়ার হাইকোর্ট ফিরিয়ে দেয়ার আগেই পিটিআই তার নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ হারিয়েছে। সূত্র: ডন।

এদিকে, গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। দেশের সাধারণ নির্বাচনের জন্য লাহোর এবং মিয়ানওয়ালি, দুই কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন তুলেছিলেন ইমরান। তার দুটি মনোনয়নই বাতিল করে দিল নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইমরান দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত। দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের বেশি জেলের সাজা হলে তার ভোটে লড়ার অধিকার থাকে না। তাছাড়া ইমরান লাহোর কেন্দ্রের বাসিন্দাও নন। তাই লাহোর থেকে তার মনোনয়ন এমনিও গ্রহণ করা হত না। আর দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার জন্য মিয়ানওয়ালির মনোনয়নও বাতিল হয়েছে। জোড়া মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ইমরান খান পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে নির্বাচন।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইমরান খানের মতো গুচ্ছ গুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ আছে পাকিস্তানের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধেও। কিন্তু তাকে ভোটে লড়ার অনুমতি দিচ্ছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই ইমরানের দল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। ইমরানের মিডিয়া টিমের অভিযোগ, সেনার ষড়যন্ত্রে ভোটে লড়তে পারছেন না ইমরান। সূত্র : ডন, রয়টার্স।