টানা প্রায় তিন মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গত ৭ অক্টোবর বিমান হামলার মধ্য দিয়ে এই বর্বর আগ্রাসন শুরু হয়। এরপর ২৮ অক্টোবর শুরু হয় স্থল অভিযান। দীর্ঘ এই যুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। গত ৭ অক্টোবর কঠোর নিরাপত্তা বলয় ভেঙে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলের অভ্যন্ত অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধারা। সেসময় তারা এক হাজার ১৩৯ ইসরাইলি ও বিভিন্ন দেশের নাগরিককে হত্যা করে। জিম্মি করে নিয়ে আসে ২৪০ জনের বেশি ইসরাইলি ও বিভিন্ন দেশের নাগরিককে। ওই দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইসরাইল। ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি ঘোষণা দেয়, হামাসকে নির্মূল করা ও জিম্মিদের উদ্ধার করা এই যুদ্ধে মূল লক্ষ্য। তবে দীর্ঘ তিনমাস পর বাস্তবতা দেখা যাচ্ছে ভিন্ন। দীর্ঘ সময় যুদ্ধ করেও কোনও জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। শুধু তাই নয়, হামাসকে নির্মূল করতে গেলেও সেখানে এখনও ভীষণ প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। দীর্ঘ সময় যুদ্ধ করার পরও হামাসকে নির্মূল করতে পারেনি ইসরাইলি বাহিনী। যদিও তাদের দাবি হামাসের সামরিক সক্ষমতা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে তেল আবিব-সহ ইসরাইলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হামাসের রকেট নিক্ষেপের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। দীর্ঘ দিন যুদ্ধ করার পরও হামাসের এই সক্ষমতা ভাবিয়ে তুলেছে অনেককেই। এদিকে, এরই মধ্যে ইসরাইল ঘোষণা দিয়েছে- গাজায় যুদ্ধরত পাঁচটি ব্রিগেড প্রত্যাহার করে নেবে। তিনটি প্রশিক্ষণ ব্রিগেডের পাশাপাশি ৫৫১তম এবং ১১৪তম রিজার্ভ ব্রিগেড প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। একটি ব্রিডেগে সাধারণত তিন থেকে পাঁচ হাজার সেনা থাকে। সে হিসেবে ১৫ থেকে ২৫ হাজার সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তেল আবিব। প্যালেস্টাইন ক্রনিকল।