নামাজের আজান শুনি না
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম
গাজায় চলমান বোমাবর্ষণে লক্ষ্যবস্তু হামলায় ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক তাৎপর্যের জন্য বিখ্যাত আল-ওমারি মসজিদসহ অনেকগুলো মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনী ৩০০টিরও বেশি মসজিদ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখন নামাজের সময় হাহাকার বিরাজ করছে। নামাজের আহ্বানে আজান সেখানে অনুপস্থিত, যা এক সময় শহর জুড়ে প্রতিধ্বনিত হতো। এছাড়া একই সময় তিনটি গির্জাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা। খান ইউনিসের ২৫ বছর বয়সী বাসিন্দা খালেদ আবু জেম বলেন, ‘মসজিদসহ শহরের পূর্বাঞ্চল সম্পূর্ণ ধ্বংসের কারণে আমরা আমাদের আশপাশে আর নামাজের আজান শুনতে পাই না।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখানকার বাসিন্দারা এখন তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আজান অনুসরণ করে। আমাদের আগে যে অভিজ্ঞতা ছিল, এ যুদ্ধ তার থেকে ভিন্ন। আমাদের বিশ্বাসের প্রতীক মসজিদ নির্বিচারে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’ খালেদ আবু জেম বলেন, ‘মসজিদের সুন্দর স্মৃতি আছে আমাদের। আমরা সেখানে প্রতিদিন নামাজ পড়তাম, রমজান ও ঈদের নামাজ পড়তাম, কোরআন পড়তাম।’ তিনি উল্লেখ করেন, শৈশব থেকেই মসজিদগুলো তাদের জীবনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। নামাজের আজান তাদের সকালের ঘুম থেকে ওঠার কাজ করে। এছাড়া যারা তার বাড়ি খুঁজছে, তাদের জন্য মসজিদ একটি পথনির্দেশক ‘ল্যান্ডমার্ক’ হিসেবে কাজ করে। গ্র্যান্ড ওমারি মসজিদটি খলিফা ওমর বিন আল-খাত্তাবের শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হয়। একবার রোমান মন্দির এবং পরে গির্জা, এটি ইসলামী বিজয়ের পরে বৃহত্তম মসজিদে পরিণত হয়েছিল। ফিলিস্তিন স্কোয়ারের কাছে গাজার পুরানো শহরে এটি এক হাজার ১৯০ বর্গমিটারের একটি উঠোনসহ চার হাজার ১০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সেখানে তিন হাজারের বেশি মুসুল্লির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। ৪৫ বছর বয়সী গাজার অধিবাসী সাইদ লাবাদ বলেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে এই যুদ্ধ মসজিদ ধ্বংস করবে।’ সাইদ লাবাদ এখন তুরস্কে অবস্থান করছেন, তবে তার পরিবার গাজা শহরের শুজাইয়ার আল-ওমারি মসজিদের কাছে থাকে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি সেখানে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম। এটি আমার সন্তানদের পছন্দের প্রাচীন স্থান। আমি ভাবছি কেন এটি ধ্বংস করা হয়েছে। মসজিদ কি দখলদারদের হুমকি দেয়?’ তিনি আরো জানান, গাজার বন্দরের কাছে আল-হাসাইনার মতো আরো অনেক মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে। মিডেল ইস্ট মনিটর।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিগত ৫৩ বছরের জঞ্জাল দূর করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনের পাঁচজনই ছাত্রলীগের
রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে নিহত ১, থমথমে পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি, ৭২ ঘন্টার অবরোধের ডাক
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান
নিরাপদ ও নির্ভয়ে উদযাপন হবে শারদীয় দূর্গোদসব এবং দূর্গাপূজা- এসএমপি কমিশনার রেজাউল করিম
মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না: উপদেষ্টা নাহিদ
চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর
বলিউডে কারিনা কাপুরের ২৫ বছর
মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ
রাজশাহীতে ট্রেনে বরযাত্রীদের ওপর হামলা
চিহ্নিত গোষ্ঠী আবার দখলদারি ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে : সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই
গায়িকা রুকসানার রহস্যজনক মৃত্যু!
যে কোনো মূল্যে লাহোর কর্মসূচি সফল করুন: ইমরান খান
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ভবনে বিচারককে গুলি করে হত্যা
ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
গরমে যেন শেষ সিলেট !
গল টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা
প্রেতাত্মাদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন হাসিনা