যে নির্বাচনের দিকে দৃষ্টি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম
আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনের দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান তখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপজ্জনক ইস্যু হলো তাইওয়ান। এক বছরের মধ্যে এটাই ছিল তাদের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের মালিকানা দাবি করে বেইজিং। অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেদেরকে স্বাধীন, সার্বভৌম হিসেবে দাবি করে। এ নিয়েই উত্তেজনা। আগামী ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনে সেখানকার ভোটারদের রায়ের ওপর নির্ভর করবে এই উত্তেজনার পরিণতি কোন পথে যায়। তাই এদিকে চীন যেমন নিবিড়ভাবে দৃষ্টি রেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রও তাই। এই মুহূর্তে ক্ষমতাসীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে। তিনি ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বিজয়ী হতে পারেন। যদি সেটাই হয়, তাহলে ক্ষিপ্ত হতে পারে বেইজিং। কারণ, তারা উইলিয়াম লাই চিং’কে স্বাধীনতাপন্থি ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে দেখে থাকে। তিনি নির্বাচিত হলে তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে তাইওয়ানের ভোটাররা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে ওয়াশিংটন। এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোরি ড্যানিয়েলস মনে করেন, নির্বাচনের ফল বলে দেবে এক্ষেত্রে কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। সেখানে যাতে চীনা কোনো সামরিক পদক্ষেপ না আসে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র যথাযথ রাজনৈতিক কোনো সিগন্যাল ব্যবহারের কথা বিবেচনা করতে পারে। ২০১৬ সালে ডিপিপির সাই ইং-ওয়েনকে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন ভোটাররা তখন থেকেই তাইওয়ানের ওপর চাপ বৃদ্ধি করা শুরু করে বেইজিং। সব রকম আনুষ্ঠানিক সংলাপ বন্ধ করে দেয়। তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক কর্মকা- বৃদ্ধি করে। তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল এমন অল্প সংখ্যক মিত্রকে বাগিয়ে এনে বেইজিংয়ের সঙ্গে জোড়া দেয়া হয়। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক আছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় সমর্থকও যুক্তরাষ্ট্র। তারা তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। গত আগস্টে তাইওয়ানের কাছে বহু লাখ ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে তারা তাইওয়ানের কাছে। এদিকে, চীনের সঙ্গে সরকারী সম্পর্ক বজায় রাখলেও তাইওয়ানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি তাইপেইকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করতে একটি আইনে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে দেশটি। গত বছরের আগস্টে দ্বীপটিতে লাখ লাখ ডলারের সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আল-জাজিরা, রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড