হুথি গোষ্ঠীর যোদ্ধা আছে দুই লাখ
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম
ইয়েমেনের একটি প্রধান আঞ্চলিক শক্তি হুথি (বিদ্রোহী সংগঠন)। নব্বইয়ের দশকে উদ্ভব হওয়া সশস্ত্র বিদ্রোহী এ সংগঠন আনসারুল্লাহ নামেও পরিচিত। ২০১৪ সালে দেশটির রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর, হুথিরা দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে উত্তরে। নিজেদের জায়গা গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের সামরিক ক্ষমতাও বাড়িয়েছে দেশটিতে। শুক্রবার এএফপির খবরে বলা হয়েছে, তারা ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোনসহ একটি উল্লেখযোগ্য অস্ত্রাগার তৈরি করেছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানি সরঞ্জাম বা উপাদান দিয়ে তৈরি তাদের অস্ত্রাগারের মধ্যে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোনও রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বেশ কয়েক বছর আগে থেকে অনুমান করা হয়, এই সংগঠনে প্রায় দুই লাখ যোদ্ধা রয়েছে। যারা ইয়েমেনের মরু ও পাহাড়ি ভূখণ্ডে যুদ্ধ করতে সক্ষম। ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) গবেষণা সহকর্মী ফ্যাবিয়ান হিঞ্জের মতে, হুথিদের টাইফুন নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এটি এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৯০০ কিমি. (৯৯৫ থেকে এক হাজার ১৮০ মাইল) রেঞ্জের ইরানি কদর ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন সংস্করণ। ইরান ২০১৬ সালে তার কদর ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। প্রায় এক হাজার ৪০০ কিমি. (৮৭০ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা নাভান্তি গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক মোহাম্মদ আলবাশা বলেছেন, ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে হুথিরা তাদের টাইফুন মিসাইল অস্ত্রাগার উন্মোচন করে। হিঞ্জের মতে, বিদ্রোহীদের কাছে ইরানের কুদস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। কুদসের বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটির প্রায় এক হজার ৬৫০ কিমি. পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন হিঞ্জ। তিনি আরও বলেছেন, ২০২২ সালে, হুথিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আঘাত করার জন্য কুদস-২ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এছাড়াও ২০২০ সালে সউদী আরবে আঘাত হানার জন্যও কুদস-২ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। হিঞ্জ বলেছেন, হুথির অস্ত্রাগারে ইরানের শাহেদ-১৩৬ ড্রোন রয়েছে। এটি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে। আইআইএসএস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান
যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ
ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১
ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী
মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে
মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ