গাজা যুদ্ধের উত্তেজনা বিরাজ করছে পশ্চিমতীরেও। রোববার দখলীকৃত ওই ফিলিস্তিনি জনপদে কমপক্ষে ৫ জনকে হত্যা করে ইসরাইল। এরপর প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের ওয়াসেল আবু ইউসুফ এ দাবি করেন। কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা গাজার টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। ফিলিস্তিনের টেলিযোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান প্যালটেল বলেছে, তাদের দু’জন কর্মী এই সেবা পুনঃস্থাপন করতে গেলে তাদেরকে হত্যা করেছে ইসরাইল। ওদিকে হুতিরা সতর্কতা উচ্চারণ করেছে। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে তাদের ওপর হামলা করলেও লোহিত সাগরে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজকে টার্গেট করা বন্ধ হবে না। হুতির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম এ কথা জানিয়েছেন। ৭ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইল কমপক্ষে ২৩ হাজার ৯৬৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তাদের হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ হাজার ৫৮২ জন ফিলিস্তিনি। দখলীকৃত পশ্চিমতীর থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মোহামেদ জামজুম বলছেন, সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। প্রতিদিন সহিংস ঘেরাওয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে। এ কারণেই গত সপ্তাহে ইসরাইলের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধানরা সতর্ক করেছিলেন যে, এই এলাকা বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে। ৭ই অক্টোবর থেকে এখানে নিহত হয়েছেন ৩৪৭ জন ফিলিস্তিনি। সেখানে অর্থনৈতিক কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনি সেখান থেকে ইসরাইলে গিয়ে কাজ করার অনুমতি পেতেন। কিন্তু ৭ই অক্টোবরে তাদেরকে আর ওয়ার্কপারমিট দিচ্ছে না ইসরাইল। ফলে পশ্চিমতীরে এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। সহিংসতা বাড়ছে। ইসরাইলের ঘেরাও ও তল্লাসি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওদিকে হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, গাজা যুদ্ধের তীব্রতা কমিয়ে আনার জন্য এটাই ইসরাইলের জন্য উত্তম সময়। এক্ষেত্রে তিনি ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের কথা উল্লেখ করেন। জন কিরবি জানিয়েছেন, তারা ইসরাইলকে যুদ্ধের তীব্রতা কমিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে হামাসকে নির্মূল না করা এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত পূর্ণ উদ্যেমে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আল-জাজিরা।