ভারতে বদলাচ্ছে তিস্তার গতিপথ
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১০ এএম
ভারতে সিকিমের সাউথ লোনাক হ্রদের পানি উপচে পড়ে তিস্তা নদীতে গত বছর ৪ অক্টোবর যে ভয়ঙ্কর আকস্মিক বন্যা নেমে এসেছিল, তারই জেরে পশ্চিমবঙ্গের সমতল অঞ্চলের কয়েকটি জায়গায় নদীটি গতিপথ বদল করেছে বলে রাজ্য সেচ দফতরের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে। আকস্মিক ওই বন্যায় নয়জন সেনা সদস্যসহ অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিল, ওই পাহাড়ি বন্যার ফলে তিস্তার পাড় ভেঙ্গে চুংথামের অনেকটা অঞ্চল পানির নিচে চলে গেছে। এখন সমতল এলাকাতেও নদীটি গতিপথ বদলিয়েছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেচ দফতরের সূত্রগুলো বলছে, তিস্তা যেখানে পাহাড় থেকে নেমে সমতলে পড়ছে, সেই সেভক থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত পুরো এলাকাতেই প্রাথমিক সমীক্ষা করেছে তারা। ড্রোন উড়িয়েও দেখা হয়েছে নদীর বর্তমান গতিপথ। এই তথ্যের সাথে ৪ অক্টোবরের আগেকার তথ্য মিলিয়ে দেখে কিছু জায়গায় তিস্তার গতিপথ বদলেছে বলেই তাদের মনে হচ্ছে। গজলডোবাতে যেমন তিস্তার যে দিকে নৌকাবিহার করানো হতো পর্যটকদের, সেখানে পানির অভাবে নৌবিহারের জায়গা সরিয়ে নিতে হয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা প্রাথমিকভাবে দেখে মনে করছেন কয়েকটি জায়গায় তিস্তার গতিপথ সরে গেছে। তবে আমরা এখনই নিশ্চিত করছি না বিষয়টা। বিস্তারিত সমীক্ষার জন্য রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে দায়িত্ব দিয়েছি। সেখানকার বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে আমাদের জানাবেন।’ পার্থ ভৌমিক জানান, কিছু জায়গায় তিস্তার পাড় ভেঙ্গেছে। সেই সব এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে যেরকম যা প্রয়োজন সেরকম ব্যবস্থা নিতে তিনি দফতরের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অক্টোবর মাসের ওই আকস্মিক বন্যায় বিপুল পরিমাণ পলিমাটি ভেসে এসেছিল। জলপাইগুড়ি আর আলিপুরদুয়ার জেলা দুটিতে ওই পলি তিস্তার নদীবক্ষে জমা হয়েছে বলেও জানাচ্ছে সেচ দফরের সূত্রগুলো। ওই সূত্রগুলো বলছে, সীমান্তের এদিকে যদি তিস্তার গতিপথ কিছুটা বদল করে থাকে, তাহলে বাংলাদেশেও একই ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের নদী বিশেষজ্ঞ ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক সুবির সরকার বলেন, তিনি এখনো বিজ্ঞানসম্মত তথ্য হাতে পাননি। তবে তিস্তার মতো পাহাড়ি নদীতে অল্পস্বল্প ধারা বদলানো খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। তিনি বলেন, ‘তিস্তা একটা পাহাড়ি নদী, তার দুদিকে উঁচু ডাঙ্গা জমি। এইসব নদীর ক্ষেত্রে যেটা হয় কখনো কখনো পানির ধারা ডানে বা বাঁদিকে বইতেই পারে। এটাকে গতিপথ বদল বলাটা উচিত হবে না। এটাকে গতিপথের সুইং বলা হয়। যদিও আবারো বলি, সেচ দফতরের তরফে যেটা বলা হচ্ছে, তার বিজ্ঞানসম্মত তথ্য এখনো আমি হাতে পাইনি।’ বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান