গাজার হাসপাতালগুলোর ‘দ্রুত অবনতির’ চিত্র তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১০ এএম
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা বুধবার গাজা উপত্যাকার অবশিষ্ট হাসপাতালের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন। এসব হাসপাতালে রোগীরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের চরম অভাবের কারণে মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। জরুরী চিকিৎসা দলের সমন্বয়কারী শন ক্যাসে বলেছেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে তিনি প্রায় পাঁচ সপ্তাহ অবস্থান করেছেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন গুরুতর পোড়া, ভেঙ্গে যাওয়া উন্মুক্ত অঙ্গসহ রোগীদের কয়েক ঘন্টা বা দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে দেখেছেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাংবাদিক ক্যাসে বলেন, ‘তারা প্রায়ই আমার কাছে খাবার বা পানি চাইত। কী পরিমাণ হতাশার মধ্যে তারা ছিল, এতেই তা বোঝা যাচ্ছিল।’তিনি বলেছেন, গাজার ১৬টি কার্যকরী হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ছয়টি তিনি পরিদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর আগে গাজায় ৩৬টি হাসপাতাল কার্যকর ছিল। শন ক্যাসে বলেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতির পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগতভাবে যা দেখেছি, তা মানবিক সহায়তার ক্রমবর্ধমান চাহিদা, বিশেষ করে গাজা উপত্যাকার উত্তরের অঞ্চলে মানবিক সহায়তার সুযোগ প্রায় সম্পূর্ণ হ্রাস করা হয়েছে।’ তিনি গাজার উত্তরের হাসপাতালে রোগীদের অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন, যারা মূলত এমন একটি হাসপাতালে মৃত্যুর অপেক্ষায় রয়েছেন। সেখানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি কিছুই নেই। তিনি বলেন,‘সাত দিনের পরিদর্শন কালে প্রতিদিন আমরা উত্তরে গাজা সিটিতে জ্বালানি এবং সরবরাহ পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি।’ এ কথা উল্লেখ করে ক্যাসে বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের অনুরোধ প্রত্যাখান করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ন্যূনতম কর্মীদের নিয়ে কাজ করার সময় হাসপাতালগুলো বিপুল রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। কর্মীদের মধ্যে অনেকেই গাজার জনসংখ্যার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠের মতো বাস্তুচ্যুত। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরাইলি বোমাবর্ষণ এবং স্থল হামলায় কমপক্ষে ২৪ হাজার ৪৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী, ছোট শিশু এবং কিশোর-কিশোরী রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেব্রিয়াসিসের আহ্বানের প্রতিধ্বনি করে ক্যাসে বলেছেন, গাজার সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন ‘সত্যিকারের যুদ্ধবিরতি।’ক্যাসে বলেছেন, গাজার দক্ষিণে তিনি নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন, যেখানে ‘তাদের মাত্র ৩০ শতাংশ কর্মী আছে এবং তাদের শয্যার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে রোগীদের সংখ্যা প্রায় ২শ’ শতাংশ বেড়েছে। এতে হাসপাতালের মেঝে, করিডোর সর্বত্র রোগীদের উপচে পড়া ভীড়।’ তিনি বলেন, ‘আমি বার্ন ইউনিটে গিয়েছিলাম, যেখানে একজন চিকিৎসক ১শ’ রোগীর যতো নিচ্ছেন।’ ক্যাসে বলেন, ‘দিন দিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পতন’ ছাড়াও ‘প্রতিদিন যে মানবিক বিপর্যয় উদঘাটিত হচ্ছে তা আরো খারাপ হচ্ছে।’ এএফপি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক