ইউরোপীয় সংসদে ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭ এএম
ভারতে সহিংসতা, ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী বক্তব্য ও বিভেদমূলক নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। চলতি বছরই দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনের আগে ইউরোপীয় সংসদে গৃহীত হলো এমন প্রস্তাব। প্রস্তাবে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্যমূলক কর্মকা-, দেশটিতে প্রচলিত বিদেশীদের সহায়তা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন এবং নাগরিক ও সংগঠনের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের নেতিবাচক প্রভাব ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, বিদেশীদের সহায়তা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইনের মাধ্যমে ভারত একাধিক গবেষণা ও বেসরকারি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। চলতি সপ্তাহেই দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালার লাইসেন্স বাতিল করেছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘাত চলমান রয়েছে। গত মে মাসে শুরু হওয়া এ সংঘাতের ফলে রাজ্যে ২০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। এটিসহ দেশটিতে চলমান অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয় ওই প্রস্তাবে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বলেছে, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সম্পর্কিত ‘উদ্বেগজনক পরিস্থিতি’ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা ও ভালো প্রতিবেশীর সম্পর্ক বজায় রাখতে ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় কমিশনেরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা উচিত। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতীয় সংসদে পাস হওয়া নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনে বলা হয়- বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মুসলমান ছাড়া ছয়টি সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উদ্বাস্তুদের ৬ বছর ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার শর্তে নাগরিকত্ব দেয়া হবে। ইউরোপীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভারতের এ আইনকে ‘ভয়ঙ্কর বিভাজনকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনটি সম্পর্কে বলা হয়, দেশটিতের ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করে এ ধরনের অন্যান্য আইনগুলোর সঙ্গে সঙ্গে এই আইনটিও গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
মুসলিমদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে পাস হওয়া আইনটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আইনটির ফলে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। অনেকেই মনে করেন, আইনটি তাদের ‘ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনসে’ নিবন্ধিত করাসহ নানাবিধ হয়রানি ও ভোটাধিকার বঞ্চিত করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস হলো দেশটিতে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের চিহ্নিত করার প্রস্তাবিত একটি ব্যবস্থা। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারতে মানবাধিকারকর্মী, পরিবেশকর্মী, আদিবাসী ও দলিত অধিকারকর্মী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী, সাংবাদিক ও অন্যান্য নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় কমিশনের দেশটির সঙ্গে কাজ করা উচিত। এছাড়া নাগরিক অধিকারকর্মীদের ক্রিয়াকলাপে নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করার জন্য দেশটিতে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিদেশী তহবিল ও সন্ত্রাস সংক্রান্ত আইন প্রয়োগ বন্ধ করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও ওই প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
খলিস্তানপন্থীদের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন কর্তারা, সফরের আগেই অস্বস্তিতে মোদি
আওয়ামী দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি র আতুঁড়ঘর ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’
বড় ব্যবধানে হেরে এএফসি বাছাই শুরু যুবাদের
যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১
বজ্রপাতে এক দিনে ৯ জনের মৃত্যু
রফিকের রেকর্ড ভাঙলেন সাকিব
লেবাননে ভয়ঙ্কর পেজার বিস্ফোরণ, নেপথ্যে হাত ভারতীয় বংশোদ্ভূতের!
ছাগলনাইয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত,আহত ১
তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক
শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই