ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১

সিরিয়ায় এবার জর্ডানের বিমান হামলায় নিহত ১০

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭ এএম | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭ এএম

 সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের চারজন নারী এবং সবাই বেসামরিক নাগরিক। প্রতিবেশী দেশ জর্ডান এই হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

স্থানীয় মিডিয়া অনুসারে, দক্ষিণ-পূর্ব সিরিয়ার সুইদা প্রদেশের আরমান এবং মালহ শহরকে লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় আনুমানিক ১০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবারের এই হামলার পেছনে জর্ডানের বাহিনী রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও জর্ডানের সরকার এখনও তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। সুইদা ২৪ নামের শহরভিত্তিক একটি নিউজ প্ল্যাটফর্ম বলেছে, যুদ্ধবিমানগুলো স্থানীয় সময় মধ্যরাতের পরে আবাসিক এলাকায় একযোগে হামলা চালায়। মালহে হামলায় কিছু ঘরবাড়ির মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর আরমানে দ্বিতীয় হামলায় অবশ্য দুটি বাড়ি ধসে পড়ে এবং অন্তত ১০ জন বেসামরিক লোক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে চারজন নারী এবং দুইজন মেয়ে রয়েছে যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম।

অস্ত্র চোরাচালান এবং মাদক চোরাচালান কার্যক্রম ব্যাহত করার প্রয়াসে জর্ডান সিরিয়ায় এর আগেও অভিযান চালিয়েছে বলে মনে করা হয়। আর সেসব অভিযানের বেশিরভাগই হয় উভয় দেশের সীমান্তের কাছে। কিন্তু শহরের বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার হামলার লক্ষ্যবস্তু কি ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আরমানের বাসিন্দা মুরাদ আল-আব্দুল্লাহ আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘যা ঘটেছে তা শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে একটি গণহত্যা ছিল। গ্রামগুলোকে লক্ষ্য করে যে বিমান হামলা চালানো হয়েছে তা মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই হিসাবে চিহ্নিত করা যায় না।’

আল-আব্দুল্লাহ বলেন, বোমা হামলা শুধু মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের বাড়িতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। হামলায় অন্যান্য বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া গ্রামবাসীদের ঘুমিয়ে থাকার সময় হামলা হওয়াতে অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং এই হামলা অপ্রয়োজনীয় বেসামরিক মৃত্যুর কারণ হয়েছে। পাঁচ বছরের বেশি নয় এমন দুই মেয়ের মাদক পাচারে জড়িত হওয়া অযৌক্তিক বলে জানান আল-আব্দুল্লাহ।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

আওয়ামী দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি র আতুঁড়ঘর ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’

আওয়ামী দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি র আতুঁড়ঘর ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’

বড় ব্যবধানে হেরে এএফসি বাছাই শুরু যুবাদের

বড় ব্যবধানে হেরে এএফসি বাছাই শুরু যুবাদের

যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১

যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১

বজ্রপাতে এক দিনে ৯ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে এক দিনে ৯ জনের মৃত্যু

রফিকের রেকর্ড ভাঙলেন সাকিব

রফিকের রেকর্ড ভাঙলেন সাকিব

লেবাননে ভয়ঙ্কর পেজার বিস্ফোরণ, নেপথ্যে হাত ভারতীয় বংশোদ্ভূতের!

লেবাননে ভয়ঙ্কর পেজার বিস্ফোরণ, নেপথ্যে হাত ভারতীয় বংশোদ্ভূতের!

ছাগলনাইয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত,আহত   ১

ছাগলনাইয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত,আহত ১

তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক

তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক

শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি

শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি

ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়

ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়

ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট

ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব

এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

দেশে সংস্কার  ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪