দিল্লি সীমান্তে কড়াকড়ি, ফের পদযাত্রায় নামছে কৃষকরা
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১১ এএম
ফসলের ন্যূনতম মূল্যের নিশ্চয়তার দাবিতে ভারতের রাজধানী দিল্লি অভিমুখে ফের পদযাত্রা শুরু করতে চলেছে কৃষকরা। তাদেরকে ঠেকাতে দিল্লির সীমানায় ব্যারিকেড দিয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে বিক্ষোভ চলার মধ্যে তরুণ এক কৃষক মারা যাওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে কৃষকরা ধর্মঘট স্থগিত করেছিল। ভারতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। এমন সময়েই আবার কৃষকদের বিক্ষোভ শুরু হল। বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুরুত্বপূর্ণ ভোটিং ব্লক। নির্বাচনের এই আসন্ন সময়ে তাদের সঙ্গে বিরোধিতা করতে চাইবে না মোদী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে কৃষকরা প্রথম আন্দোলন শুরুর সময়ে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লি অভিমুখে পদযাত্রায় নামা কৃষক ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল সরকার। তবে কৃষকদের সব দাবি কর্তৃপক্ষ পূরণ করতে রাজি না হওয়ায় অন্তত তিনবার আলোচনা ভেস্তে যায়। কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্যের নিশ্চয়তার সঙ্গে বয়স্কদের জন্য পেনশন দাবি করছে কৃষকরা। সরকারকে ঋণও মওকুফ করতে বলছে তারা। বিক্ষোভকারীরা বলছে, সরকারের উচিত পল্লী কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের অধীনে কর্মদিবসের সংখ্যা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করা হোক। কৃষকরা আরও চায়, ভারত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) থেকে সরে দাঁড়াক এবং সব মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করুক। বুধবার দুটি কৃষক ইউনিয়নের আহ্বানে গোটা ভারতের কৃষকেরা মেট্রো এবং বাসসহ সরকারি পরিবহনে করে রাজধানী দিল্লিতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করবে। কৃষকরা আগামী ১০ মার্চ চার ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার ডাকও দিয়েছে। ভারতে কেন্দ্র সরকারের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া পৌঁছে দিতে ‘দিল্লি চল’ যাত্রা শুরু করেছিলেন কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা- মূলত এ তিন রাজ্যের কৃষকরাই এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৩০০টি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন এতে যোগ দিচ্ছে। বিক্ষোভকারী কৃষকদের ঠেকাতে প্রশাসনও শুরু থেকেই উঠেপড়ে লেগে আছে। কৃষকদের দিল্লি পৌঁছানো ঠেকাতে রাজধানীকে দূর্গের মতো সুরক্ষিত করা হয়েছে। ওদিকে, কৃষকেরা নিজেদের সংকল্পে অটল। দু’বছর আগে কৃষকদের অর্ধেক দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কেন্দ্র কিছুই করেনি বলে অভিযোগ কৃষকদের। ২০২০ সালেও কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা ভারত। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে লাগাতার আন্দোলন চলে। সেই আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ‘বিতর্কিত’ কৃষি বিল প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কৃষক সংগঠনগুলোও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইরানে হামলার পর জরুরি বৈঠকে নেতানিয়াহু
ইরানে আরও ভয়াবহ হামলা চালাবে ইসরাইল !
ইসরাইলের হামলার জেরে ইরানের সব ফ্লাইট বাতিল
বেনাপোলে ডিবির অভিযানে গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি আটক
১৪ দিন পর স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিবের প্রথম জুমা, খুৎবায় গুরুত্ব পেয়েছে যেসব বিষয়
রূপগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৬
ইরানে হামলার সাথে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয় : পেন্টাগন
হাসনাত আব্দুল্লাহর ছেলে মঈন আব্দুল্লাহ গ্রেপ্তার
১৫-২০ দিনে মেসি-রোনালদো হওয়া যায় না : নুর
ইরানে ইসরায়েলের হামলা, এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে
যশোরে অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
অবশেষে ইরানে ইসরায়েলের হামলা
একই সময়ে ভারতের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
বর্বর ইসরাইলি হামলায় খান ইউনিসে ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন - জামায়াত নেতা শাহজাহান
গোলাপগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
বিরামপুরে সাবেক এমপি শিবলী সাদিক সহ ১২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হত্যা মামলা!
রিয়ালে যোগ দিতে চান হল্যান্ড!
গফরগাঁওয়ে পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে সংঘর্ষ