সিএএ কোনোভাবেই প্রত্যাহার নয় : অমিত
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কোনোভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত সোমবার ভারত জুড়ে এই নাগরিকত্ব আইন চালু হয়। এই সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএএ চালু করার কথা ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিম নাগরিকরা (হিন্দু শিখ খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ) ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। তবে মুসলিমদের বিষয়ে আইনে সরাসরি কিছু বলা হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আইনের মারপ্যাচে নাগরিকত্ব হারাতে পারেন দেশটির অনেক মুসলিম নাগরিক। ভারতের বিরোধী দলগুলোর দাবি সিএএ অসাংবিধানিক। এই আইন প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানালে উল্টো তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিরোধী দলগুলি। সেই ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন আইনে এমন কোন সংস্থানই নেই। বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা এএনআই’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেক নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়াটা আমাদের সার্বভৌমত্বের অধিকার। এর সাথে কোন আপোষ করা যাবে না। সিএএ কোনভাবে ফেরত নেওয়া হবে না। ‘সিএএ অসংবিধানিক’ বিরোধীদের এই দাবিকে নাকচ করে অমিত শাহ বলেন ‘তারা সবসময় আর্টিকেল ১৪ (সকলের জন্য সম অধিকার) এর কথা বলে। তারা ভুলে গেছে যে এই ধারায় দুটো উপধারা রয়েছে। সিএএ কোনভাবেই আর্টিকেল ১৪ কে লঙ্ঘন করে না। এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র যারা ওই তিনদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে এসেছেন তাদের জন্য এই আইন। এটা সাংবিধানিকভাবে বৈধ। ভারতের শীর্ষ আদালতে এই আইনের উপরে কোন স্থগিতাদেশ নেই। সিএএ’এর সাথে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)র কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন এনআরসির সাথে সিএএ’এর কোন সম্পর্ক নেই। আসামসহ গোটা দেশে সিএএ চালু হচ্ছে। কিন্তু উত্তর-পূর্ব ভারতের যে রাজ্যগুলিতে যেখানে নাগরিকদের জন্য দুটি বিশেষ অধিকার দেওয়া রয়েছে, এইসব জায়গায় সিএএ আইন চালু হবে না। সিএএ চালুর সময় নিয়ে বিরোধীরা যে প্রশ্ন তুলেছিলেন তা নিয়ে অমিত শাহ বলেন ‹২০১৯ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে এ কথা বলা ছিল যে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা নাগরিক ও তাদের সন্তানদের ভারতে স্বাগতম এবং নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এরপর সংসদে তা পাস হয় কিন্তু কোভিডের জন্য তা বাস্তবায়নের বিলম্ব হয়। এনডিটিভি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গুতেরেসের রাশিয়া সফর নিয়ে বিতর্ক
যুক্তরাষ্ট্র সুসম্পর্ক চাইলে রাজি পুতিন
কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলে হাজতির মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কারণে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
পর্যটকদের জন্য খরচ বাড়ছে ভেনিসে
শ্যামনগরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত
চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জবি ছাত্রলীগের গ্রুপ গ্যাং
বিজিবি ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বেনাপোলে ৬২ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক
পাবনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জনতার হাতে আটক ৪ ডাকাত
জুলাই-আগস্টে নিহত পুলিশের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে- প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
জমির বিরোধে মাদারীপুরে মা ও ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
কোন সমন্বয়ক ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বহিস্কার করে ব্যবস্থা: সারজিস
সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শিক্ষার্থীদের
ইন্ডিয়া গেটের কাছেই হাসিনার বাংলো : হিন্দুস্তান টাইমস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ছয় মাস পরে ঢাকায় ফিটনেসবিহীন পুরাতন মোটরযান নিষিদ্ধ : পরিবেশ উপদেষ্টা
মধুখালীর গড়াই নদী থেকে ১৮ টি ড্রেজারে ফের অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে
সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির ৩ দিনের রিমান্ডে
চালককে হত্যা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি ছিনতাই