যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের গুরুত্ব বোঝাচ্ছে বাল্টিমোর দুর্ঘটনা
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যখন বাল্টিমোর সেতু ভেঙে পড়ে, তখন এর ওপর সড়ক মেরামতের কাজ করছিলেন আটজন অভিবাসী শ্রমিক। দুর্ঘটনার পর দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও প্রাণ হারান বাকি ছয়জন। অধিকারকর্মীদের মতে, এই দুর্ঘটনাই দেখিয়ে দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অধিকারকর্মী এবং সাবেক নির্মাণ শ্রমিক লুইস ভেগা বলেন, অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে এসে এমন সব কাজ করেন, যা মার্কিনিরা করতে চান না। এসব কাজ খুবই কঠিন, কর্মঘণ্টা দীর্ঘ অথবা কাজের পরিবেশ কঠোর। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হোটেলের রুম কে পরিষ্কার করতে চায়? কে গরমে রোদের নিচে কাজ করতে চায়? কে মাঠে থাকতে চায়? ‘অভিবাসীরা- আমরাই কাজগুলো করে থাকি,’ বলেন হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা টম পেরেজ। তিনি নিজেও একজন ল্যাটিনো অভিবাসী। পেরেজ বলেন, ছয়জন মারা গেছেন, বাকি দুজন বেঁচে রয়েছেন... এটাই আমেরিকা, যেখানে অভিবাসীরাই গর্ত মেরামত করেন। কিছুদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হচ্ছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট জোরালোভাবে অভিবাসনবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফলে আশঙ্কা বেড়েছে, পুনর্র্নিবাচিত হলে তিনি হয়তো গণহারে অভিবাসী প্রত্যাহার শুরু করবেন। ট্রাম্পের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মাদক ও অপরাধ বৃদ্ধির জন্য অভিবাসীরাই দায়ী। লুইস ভেগার কথায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেখতে পাচ্ছেন না, তিনি তার বিষ দিয়ে কতটা ক্ষতি করেছেন। সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে সীমান্ত পার হয়ে আসে না, তারা ভিসা নিয়ে আকাশপথে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির সময় কেউ অন্যদের কাছে গিয়ে কাজ করতে চায়নি। তাহলে কাজগুলো করেছিল কে? হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা? খাবার সংগ্রহ করা? এগুলো অভিবাসীরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করেছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০-২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমশক্তির ৮ দশমিক ২ শতাংশ ছিলেন ল্যাটিনো অভিবাসীরা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুতে তাদের অংশ ছিল ১৪ শতাংশের মতো। ২০২১ সালে দেশটিতে ৭২৭ জন ল্যাটিনো অভিবাসী কর্মী মারা গেছেন, যা এক দশক আগের তুলনায় অন্তত ৪২ শতাংশ বেশি। কিন্তু কঠিন পরিশ্রমের কাজ করেও ঠিকঠাক বেতন পান না অনেক অভিবাসী শ্রমিক। টাকসনে ঠিকাদারির কাজ করা জ্যাভিয়ের গালিন্দো জানান, অ্যারিজোনায় আইনগতভাবে ন্যূনতম মজুরি হলো প্রতি ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৩৫ মার্কিন ডলার। কিন্তু, অভিবাসী শ্রমিকরা প্রতিদিন মাত্র ৮০ থেকে ১০০ ডলার উপার্জন করেন, এর জন্য কখনো কখনো তাদের ১০ থেকে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে হয়। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কৃষক জামালের ক্ষেতে রঙিন ফুলকপি, উদ্বুদ্ধ হচ্ছে অন্য কৃষকরাও
জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল
কুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে নতুন তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের
কলকাতায় প্রকাশ্যে মুরগির মাংস বিক্রি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় ফেনীতে সুদানের নাগরিক আটক
ক্ষমতা গ্রহণ করেই বাইডেন আমলের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল ট্রাম্পের
পেকুয়ায় প্রাচীন খাল উদ্ধারে পদক্ষেপ জনমনে স্বস্তি
ঢাকার বাতাস ২৪৬ স্কোর নিয়ে আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘সেকেন্ড লেডি’
গাজা একটি ‘বিশাল ধ্বংসস্তূপ’, পুনর্নির্মাণ করা প্রয়োজন: ট্রাম্প
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির প্রথম পদক্ষেপ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
ট্রাম্পের শপথ : যোগ দেন চীনের হ্যান ঝেং ভারতের জয়শঙ্কর
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
সত্যিই কি মারা গেছেন ম্যাশ? কি বলছে রিউমর স্ক্যানার?
সেই যুবকের বিরুদ্ধে ৯০০ টাকা চুরির মামলা
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা ট্রাম্পের
সাফারি পার্কের দেয়াল টপকে পালিয়ে গেল নীলগাই
জোকোভিচ-আলকারাজ হাইভোল্টেজ লড়াই আজ
বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে চিটাগাং