মেঘে মোড়ানো জনশূন্য দ্বীপে যায় কৃষকরা
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ এএম
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে অবস্থিত ছোট্ট একটি দ্বীপ। ফ্যারোয় দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত ১৮টি দ্বীপের মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে ছোট দ্বীপটির নাম লিটলা দিমুন। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, নিজের অস্তিত্বকে মেঘের আড়ালে ঢেকে রাখতে চায় দ্বীপটি। জনমানবশূন্য লিটলা দিমুন দ্বীপটি যেন গলা উঁচু করে ছোট পাহাড়ের মতো সমুদ্রের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে সেই দ্বীপের দেখা পাওয়াই দুষ্কর। মেঘ যেন আপাদমস্তক কম্বলের মতো মুড়ে রেখেছে তাকে। স্থানীয়দের মতে, লিটলা দিমুন দ্বীপটি রহস্যময়। আশপাশে কোথাও মেঘ না থাকলেও নিয়ম মেনেই যেন দ্বীপের মাথা থেকে মেঘ পুঞ্জীভূত হতে হতে একেবারে সমুদ্রের পানির সাথে মিশে যায়। এই ধরনের পরিবেশের জন্যই নাকি সেই দ্বীপে কেউ থাকতে পারে না। তবে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অন্য গ্রামের কৃষকেরা বিশেষ কারণে সেই দ্বীপে যায়। ২৪৭ একর জমি ঘিরে রয়েছে লিটলা দিমুন দ্বীপ। ভালবা এবং স্যান্ডভিক নামের দু’টি দ্বীপ থেকে সরাসরি মেঘে ঢাকা লিটলা দিমুন দ্বীপের দেখা পাওয়া যায়। এই দুই গ্রামের কৃষকেরাই মূলত বছরে অন্তত এক বার লিটলা দিমুন দ্বীপে যান। কারণ, সেই দ্বীপের মালিক তারাই। স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়, নব্য প্রস্তর যুগে উত্তর ইউরোপ থেকে একপাল কালো ভেড়া নিয়ে লিটলা দিমুন দ্বীপে আস্তানা গড়েছিল সেখানকার বাসিন্দারা। যুদ্ধ হওয়ার কারণে সেখানকার সকল বাসিন্দাই পালিয়ে নরওয়ে চলে যায়। দ্বীপের মধ্যে ফেলে যায় ভেড়াগুলো। জনমানবশূন্য লিটলা দিমুন দ্বীপ ডেনমার্কের তৎকালীন সম্রাটের দখলে চলে যায়। সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য সেখানে বসতি গড়তে চাইলেও তা অসম্ভব হয়ে ওঠে। কারণ দ্বীপের চারদিক সব সময় মেঘের আস্তরণে ঢাকা থাকত। ফলে আবহাওয়া বসবাসের অনুকূল থাকত না বেশিভাগ সময়। লিটলা দিমুন দ্বীপটি এতটাই খাড়া প্রকৃতির যে উঠে সেখানে বাস করাও কঠিন। তাই ডেনমার্কের তরফে দ্বীপটিকে নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৮৫২ সালের ২৪ জুলাই ভালবা গ্রামে লিটলা দিমুন দ্বীপটি নিলামে ওঠে। ভালবা এবং স্যান্ডফিক গ্রামের তরফে এই দ্বীপটি প্রায় ৫৭ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে নেয়া হয়। দ্বীপটি কিনলেও সেখানে গিয়ে বসবাস করতে পারতো না তারা। লিটলা দিমুন দ্বীপ কালো ভেড়ার পাশাপাশি প্রচুর সামুদ্রিক পাখির আবাসস্থল। ছোট লেজবিশিষ্ট, কালো লোমযুক্ত ভেড়াগুলো বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে গ্রামে নিয়ে যায় ভালবা এবং স্যান্ডভিক গ্রামের বাসিন্দারা। প্রতিবছর শরতের সময় পালতোলা নৌকা নিয়ে লিটলা দিমুন দ্বীপে যায় ভালবা এবং স্যান্ডভিক গ্রামের অধিবাসীরা। ওই সময় দ্বীপের আবহাওয়া সামান্য অনুকূল থাকে এবং কিছু সময়ের জন্য মেঘের পরিমাণও কমে যায়। দড়ি বেঁধে দ্বীপের মধ্যে যান তারা। লিটলা দিমুন দ্বীপের ভেড়াগুলো বেঁধে আবার নৌকা করে ভালবা এবং স্যান্ডভিক গ্রামে ফিরে যায় সেখানকার বাসিন্দারা। তারপর গ্রামেই সেই ভেড়া পালন করেন। এবিপি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দুর্নীতিবাজ অর্থ আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে বিজয়নগরে সংবাদ সম্মেলন
পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহে হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী র্যাবের হাতে গ্রেফতার
দিনাজপুরে ফ্যাসিষ্ট সরকারের ডিলারদের নামেই মাল বিক্রি করছে বর্তমান সুবিধাভোগীরা
তাবিথ আউয়াল বাফুফের নতুন সভাপতি
নির্মাতা রেদওয়ান রনির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে সাদিয়া আয়মান
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে
সিলটি আওয়াজ ও ক্যাম্পেইন কমিটির ইউকে’র সংবাদ সম্মেলন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে মাত্র আন্তর্জাতিক !
২৮ অক্টোবরে লগি-বৈঠার হত্যাযজ্ঞের 'মাষ্টার মাইন্ড' শেখ হাসিনা-কক্সবাজারে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান
সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই-পীর সাহেব চরমোনাই
প্রেসিডেন্ট ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্ট হলেও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না: রিজভী
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি মামুনুল হকের
রাজবাড়ীতে বিএনপির দুই নেতাকে আটকে মারধর করায় ১২জনের বিরুদ্ধে মামলা
তরুণ প্রজন্ম আগামী পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করবে: মান্না
ঝিকরগাছায় বিএনপির নেতা নির্বাচন: সভাপতি সাবিরা মুন্নী, সম্পাদক নিপুণ
বিরামপুর থানা পুলিশের অভিযানে হত্যা মামলার- ৩ আসামি গ্রেফতার!
তারেক রহমানের ৩১ দফার দেয়াল লিখন
ঐক্যভঙ্গ হলে আ'লীগ সুযোগ পাবে - রাশেদ প্রধান
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এমডি নিয়োগ নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র
হাবের কর্তৃত্ব দখলে মাঠে নামছে দু’টি গ্রুপ
জামায়াত মদিনার নয় মওদুদীর ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়-আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী