নতুন নির্বাচন ও বন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা প্রায় সাত মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাকেও লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তবে এরপরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক থাকা বেশিরভাগ বন্দিকেই উদ্ধার করতে পারেনি ইসরাইল। এই পরিস্থিতিতে নতুন নির্বাচন আয়োজন ও বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ইসরাইলে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দফা বিক্ষোভে নতুন নির্বাচনের দাবিতে এবং গাজায় আটক বন্দিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও পদক্ষেপের দাবিতে শনিবার রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার ইসরাইলি বিক্ষোভকারী। গাজায় প্রায় সাত মাস ধরে ইসরাইল আগ্রাসন চালাচ্ছে এবং হামাসের হাতে এখনও বন্দি থাকা ১৩৩ ইসরাইলি বন্দির বিষয়ে নেতানিয়াহু সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মধ্যে ইসরাইলজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। জরিপগুলোতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, বেশিরভাগ ইসরাইলি নাগরিক তাদের দেশে নিরাপত্তা ব্যর্থতার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন। তবে ইসরাইলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী বারবার আগাম নির্বাচনের কথা অস্বীকার করেছেন। জনমত জরিপগুলো বলা হচ্ছে- এখন ইসরাইলে নির্বাচন হলে তাতে নেতানিয়াহু হেরে যাবেন। আর তাই নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের মাঝখানে নির্বাচনে যাওয়া কেবল হামাসকেই পুরস্কৃত করবে। রয়টার্স বলছে, শনিবার তেল আবিবে বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ইয়ালন পিকম্যান নামে ৫৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি, তারা আমাদেরকে মাসের পর মাস নিচে টেনে নিয়ে যাচ্ছে; ৭ অক্টোবরের আগেও এবং ৭ অক্টোবরের পরেও। আমরা নিচে নেমেই চলেছি।’ ইসরাইলি মিডিয়া ২৪০ থেকে ২৫৩ ইসরাইলি বন্দির গাজায় আটক থাকার কথা বলে থাকে। যার মধ্যে তিনজনকে ইসরাইল মুক্ত করেছিল এবং ১০৫ জনকে হামাস গত বছরের নভেম্বরে বন্দি বিনিময় চুক্তির সময় মুক্তি দিয়েছিল। এছাড়া ইসরাইলি হামলার কারণে আরও ৭০ জন বন্দির নিহত হওয়ার কথা বলে থাকে হামাস। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে। ইসরাইল গাজার ওপর ব্যাপকভাবে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বেনাপোলে গৃহবধূকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক -৪
এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম
বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর
গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত
প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি
নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’
ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম
মারাত্মক শব্দদূষণ
তারেক রহমানের ঐতিহাসিক দায়
দলে গণতন্ত্র চর্চা অপরিহার্য
বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি
রফতানির বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে
আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা
মাওবাদীদের আত্মসমর্পণে আল্টিমেটাম দিলো মোদি সরকার