কেন্দ্র ও মণিপুর রাজ্য সরকারের সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে গত বছর কুকি ও মেইতি জাতিগত সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এর ফলে সেখানে বড় রকমের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, গত বছর ৩রা মে থেকে ১৫ই নভেম্বর সময়ের মধ্যে এই সংঘাতে কমপক্ষে ১৭৫ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ। ২০২৩ সালে ভারতে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বার্ষিক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার সারসংক্ষেপে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, অধিকারকর্মীরা ও সাংবাদিকরা রিপোর্ট করেছেন যে, সেখানে সশস্ত্র লড়াই হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে। অবমাননা করা হয়েছে। এর সঙ্গে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়েছে। সরকার সেখানে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করে, প্রতিদিন কারফিউ দেয় এবং সহিংসতার জবাবে ইন্টারনেট সেøা করে দেয়। এই সহিংসতাকে থামাতে ব্যর্থতা এবং সহিংসতা তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ, মানবিক সহায়তা সরবরাহ নিশ্চিত করা, ধ্বংস করে দেয়া বাড়িঘর এবং উপাসনালয় পুনঃনির্মাণে কেন্দ্রীয় এবং মণিপুর রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রতি বছরের মতো এ বছরও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রায় সব দেশের গত বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে ভারত অংশে বলা হয়েছে, ভারতে ২০২৩ সালে উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার ইস্যু পাওয়া গেছে। এসব রিপোর্ট বিশ্বাসযোগ্য। এর মধ্যে আছে খেয়ালখুশিমতো আটক অথবা আইনবহির্ভূতভাবে হত্যাকা-, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতা, সরকারের কাছ থেকে অবমাননাকর আচরণ অথবা শাস্তি, জেলখানার পরিবেশ ভয়াবহ কঠিন এবং জীবনের প্রতি হুমকিস্বরূপ। বছর জুড়েই খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়েছে। আছে রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তি। ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় খেয়াল-খুশিমতো অথবা বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। কোনো আত্মীয়ের ঘটানো অপরাধের কারণে পরিবারের সদস্যদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। মত প্রকাশ ও মিডিয়ার স্বাধীনতায় আছে গুরুতর বিধিনিষেধ। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ঘটানো হয়েছে অথবা সহিংস হুমকি দেয়া হয়েছে। অন্যায়ভাবে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা হয়েছে। তাদেরকে সেন্সরশিপ করানো হয়েছে। ইন্টারনেট স্বাধীনতায়ও আছে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা। স্বাধীনভাবে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে আছে উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপ। আন্দোলনের স্বাধীনতায় আছে বিধিনিষেধ। আছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আছে সরকারের গুরুতর বিধিনিষেধ। আছে ব্যাপকভাবে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা। যারা মানবাধিকার লংঘন করছেন সেইসব কর্মকর্তাদের শনাক্তে এবং শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এনডিটিভি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিএনপিকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে: ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ফরিদপুরে প্রিন্সিপালের ওপর অতর্কিত হামলা
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নে ১৭ সদস্যের কমিটি গঠিত
‘সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে’
অসহায় শীতার্তদের মাঝে রূপালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ
জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই: ফখরুল ইসলাম
মীরসরাইয়ে অবৈধ বেহুন্দি ও মশারি জাল জব্দ
গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যমের চিত্র প্রদর্শনী করছে তরুণ কলাম লেখক ফোরাম
মারা গেলেন আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ এসআই মেহেদী
নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড
ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ১৩ হত্যার নির্দেশদাতা নাসিমের খুঁটির জোর কোথায়?
যে কারণে ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে মানা করেছিলেন ড. ইউনূস
মানিকগঞ্জে এলজিইডির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
বাংলাদেশে কখনো স্বৈরাচারের শাসন জনগণ মেনে নিবেনা: আমিনুল হক
প্রতিনিয়ত মোশাররফ করিমের থেকে শিখি: মম
অবৈধ ৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে বরগুনার জেলা প্রশাসন