ইউরোপের নির্বাচনে কড়া শরণার্থী নীতি কতটা প্রভাব ফেলবে?
১৮ মে ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৮ মে ২০২৪, ১২:০১ এএম
মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেআইনি বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের যে উদ্যোগ চূড়ান্ত করলো, তার ফলে আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টার দক্ষিণপন্থি শিবিরের প্রতি সমর্থন কমবে বলে আশা করছে অন্যান্য দল।
আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি বহিরাগতদের রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত নীতির ব্যাপক সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিলো। মঙ্গলবার ইইউ অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত নতুন বোঝাপোড়ার অংশ হিসেবে দশটি আইন অনুমোদন করেছে। সেই একক ইউরোপীয় নীতির আওতায় অবৈধ বহিরাগতদের ঢল সামলাতে এক গুচ্ছ পদক্ষেপ স্থির করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের আপত্তির কারণে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভোট দিলেও সেটি থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংস্কারের ফলে শুধু ইইউ-র সীমান্তবর্তী দেশগুলিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বোঝা সামলাতে হবে না, বাকিদেরও সংহতি দেখাতে হবে। কোনো সদস্য দেশ তাদের আশ্রয় দিতে না চাইলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ইউরোপের মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের ঠিক আগে অভিবাসন ও আশ্রয় সংক্রান্ত কড়া পদক্ষেপ নিয়ে ভোটারদের মন জয় করার আশা করছে। কট্টর দক্ষিণপন্থি ও পপুলিস্ট দলগুলি এতকাল মানুষের মনে বহিরাগতদের ঢল সংক্রান্ত উদ্বেগ কাজে লাগিয়ে সমর্থন আদায়ের যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল, ইউরোপীয় স্তরে নতুন সমাধানসূত্র সেই হাতিয়ার কিছুটা হলেও ভোঁতা করে দেবে বলে অন্যান্য রাজনৈতিক শিবির মনে করছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালে সিরিয়া ও ইরাকের যুদ্ধের কারণে প্রায় এক কোটি বহিরাগত ইইউৃতে প্রবেশ করার পর জনসংখ্যার একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মনে বিষয়টি নিয়ে কড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে।
আগামী ৬ থেকে ৯ জুন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় চরম দক্ষিণপন্থি ও পপুলিস্ট দলগুলির প্রতি যথেষ্ট সমর্থন দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের পর বাকি দলগুলি নির্বাচনি প্রচারে বিষয়টি তুলে ধরে কতটা সমর্থন ফিরে পেতে পারে, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই তা জানা যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, যে ইইউ-র এই সংস্কারের উদ্যোগ ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। ভোটারদের মনে এতটা ধৈর্য আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। ২০২৩ সালে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ আইনি পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে প্রায় দশ লাখ মানুষ অনুমতি ছাড়াই ইইউ দেশগুলিতে বাস করছে। তার মধ্যে বৈধ ভিসা নিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে থেকে যাওয়া মানুষের ক্ষেত্রে নতুন সংস্কারের উদ্যোগ কার্যকর হবে না। অর্থাৎ গত বছর যে প্রায় তিন লাখ মানুষ বিনা অনুমতিতে ইউরোপে প্রবেশ করেছে, শুধু তাদের মতো অভিবাসন ও আশ্রয়প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রেই নতুন নিয়ম প্রয়োগ করা হবে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শৈলকুপায় আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিবন্ধিত সব দল নিয়েই হবে: সিইসি
বিভাগ সংস্কারে আন্দোলনে ইবি শিক্ষার্থীরা
কালের কণ্ঠ বিতর্ক: যা বললেন শিবির সেক্রেটারি
জাতিগতভাবে আমরা একটু বেশি জাজমেন্টাল: তাহসান খান
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়
আখাউড়ায় আসার পর কাপলিং ভাঙ্গলো উপকুল এক্সপ্রেসের
‘কালের কণ্ঠের ভূমিকা নিয়ে অবগত ছিলাম না’, ফাতেমার দুঃখ প্রকাশ
পুতুলকে দৌড়ের উপর রেখে ভারতকে কী বার্তা দিতে বললেন পিনাকী
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বিএসএফের
বার্মিংহামের সিরাজাম মুনিরায় ১৪ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব (রহ.) এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল
নিকলীতে ভুট্টা চাষে আশার স্বপ্ন বুনেছে কৃষক
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে লিফলেট বিতরণ
মেঘনা নদীতে দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহত ৩, নিখোঁজ ১
হবিগঞ্জের সড়কে প্রাণ গেল তিন নারী পোশাক শ্রমিকের
বরিশালে জাতীয় মহাসড়কের ওপর নির্মিত পাক অপসারণে নগর ভবনকে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩
দুইবার আবেদন করেও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় মাল্টার নাগরিকত্ব পায়নি তারিক সিদ্দিকের পরিবার
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিল শুরু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে