১১ জুলাই যা ঘটতে পারে ট্রাম্পের ভাগ্যে
০২ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০২ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় সাজার মুখোমুখি হয়েছেন। আর সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ৭৭ বছরের ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। শেষ পর্যন্ত আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আমেরিকায় শুরু হয়েছে জল্পনা। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করলে ট্রাম্প নিজেকে ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন বলে কিছু আইনি বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন, ট্রাম্পকে জরিমানা করা হতে পারে। এই বিচারের ফলাফল ট্রাম্পের কেবল ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জন্য নয়, তার রাজনৈতিক ভাগ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খবর সিএনএন, রয়টার্স ও ডয়চেভেলে।
আগামী ১৫ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে রিপাবলিকান পার্টি। ইতিমধ্যে পদপ্রার্থী হওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন ট্রাম্প। কিন্তু ১১ জুলাই সাজা ঘোষণা হওয়ার পরে তিনি আদৌ নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক দ-বিধির ১৭৫ ধারা অনুযায়ী ব্যবসায়ী রেকর্ড জালিয়াতির একাধিক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এই মামলায়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর প্রতিটি নিউ ইয়র্কে ‘ই’ শ্রেণির বা সর্বনিম্ন স্তরের। সেক্ষেত্রে প্রতিটি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ চার বছর করে কারাদ-ের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। তবে এই অভিযোগগুলোর ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কারাদ-ের বিধান নেই। ফলে ট্রাম্পের কারাগারে যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। নিউ ইয়র্ক আদালতের জুরি বোর্ডের সভাপতিত্বকারী বিচারক জুয়ান মার্চানের পরিচিতি রয়েছে ‘অপরাধীদের কঠোর সাজা’ দেওয়ার জন্য। তবে আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এক্ষেত্রে ৭৭ বছরের রিপাবলিকান নেতাকে শুধু জরিমানা দিয়েই ছাড় দিতে পারে আদালত। কারণ, প্রথমত তার বয়স, দ্বিতীয়ত, অপরাধের ধরন ‘অহিংস’ এবং তৃতীয়ত, এটাই তার প্রথম অপরাধ। তা ছাড়া দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রতি জুরি ‘বাড়তি সহানুভূতি’ দেখাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। আপিল চলাকালে জামিন নিয়ে ট্রাম্পের মুক্ত জীবন কাটানোর সুযোগ আছে।
আগামী ১১ জুলাই শাস্তি ঘোষণার আগে ট্রাম্প আদালতে তার ‘চরিত্রের’ বিষয়ে পরিজন ও পরিচিতদের প্রশংসাপত্র পেশের সুযোগও পাবেন। আমেরিকার আইনে এমন প্রশংসাপত্রে শাস্তি লাঘব হওয়ার সুযোগ থাকে। জেলের সাজা হলেও এখনই তা কার্যকর না-ও হতে পারে। আমেরিকার আইন অনুযায়ী, এক্ষেত্রে ম্যানহাটনের রাষ্ট্রীয় আপিল আদালতে আবেদন জানিয়ে স্থগিতাদেশ পেতে পারেন ট্রাম্প। বস্তুত, রায় ঘোষণার পরেই বৃহস্পতিবার ট্রাম্প উচ্চতর আদালতে আবেদনের বার্তাও দিয়ে রেখেছেন। ট্রাম্পের আবেদন সম্পর্কে রায় জানাতে আপিল আদালতের এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে আইনজীবীদের একাংশের মত। ততদিনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে যাবে।
শেষ পর্যন্ত জেলে যেতে হলেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে বাধা থাকবে না ট্রাম্পের। কারণ, সে দেশের আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলার আসামিও দেশের সর্বোচ্চ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উপযুক্ত। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার আইনের অধ্যাপক রিচার্ড এল. হাচেন বলেন, মার্কিন সংবিধানে এমন কোনো বিধান নেই যে, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এর কোনো পরিবর্তন হবে না। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তিনটি শর্তই প্রধান। এগুলো হচ্ছে—৩৫ বছর বয়স, আমেরিকার বংশোদ্ভূত এবং ১৪ বছর আমেরিকায় বসবাস করতে হবে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কেরানীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ১০
প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ
কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
দুই দিনের রিমান্ড শেষে নোয়াখালী-৪ সাবেক এমপি একরামুল কারাগারে
নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
চৌগাছায় পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ বন্ধ, বিপাকে গ্রাহকরা
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিয়ে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় করেছে আওয়ামী সরকার- বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে -ইসলামী আইনজীবী পরিষদ
ঐক্যবদ্ধ্য ভাবে চাঁদাবাজির মূল উৎসগুলো উৎপাটন করতে হবে ..সোনারগাঁওয়ে এস এম ওয়ালিউর রহমান আপেল
কেনাকাটা করতে গিয়ে বিপত্তি, খোদ ফরাসি রাষ্ট্রদূতের মোবাইল চুরি চাঁদনি চকে!
‘ছাত্র-জনতা দুস্কৃতিকারী’ বলার পুরস্কার সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি!
কেমন শিক্ষাঙ্গন চায় জানতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের মতবিনিময়
পালিয়ে বিয়ে করে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন কোক স্টুডিও তারকা
ব্রাহ্মণপাড়ায় সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত
ইসরাইলকে জব্দ করতে সামরিক বাজেট ৩ গুন বাড়াচ্ছে ইরান
ইবির চারুকলা বিভাগের নতুন সভাপতি ড. কামরুল
৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের পতন তাদের দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে আছে তাই সজাগ থাকতে হবে - বাদশা
শেরপুরে সেনাবাহিনী-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের যৌথ অভিযানে ২ নারী গ্রেপ্তার গাঁজা-ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
পরিকল্পিতভাবে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হত্যার অভিযোগ করলেন মাসুদ সাঈদী
সোনাইমুড়ীতে জামায়াতের ইউনিয়ন কর্মী সম্মেলন