ঢাকা   শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮ কার্তিক ১৪৩১
ম্যাকেঞ্জির প্রতিবেদন

গ্যাসচালিত গাড়িতে ফিরতে চায় ইভি মালিকদের বড় অংশ

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম

বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) কেনার কারণে মার্কিন ক্রেতাদের বড় একটি অংশ বিরক্ত। পরবর্তী পরিবহন হিসেবে তারা গ্যাসচালিত গাড়িই কিনতে চান বলে ম্যাকেঞ্জি অ্যান্ড কোম্পানির সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে।
গত মাসে প্রকাশিত ‘মোবিলিটি কনজুমার পালস ফর ২০২৪’ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৪৬ শতাংশ ইভি মালিক বলেছেন, পরবর্তী গাড়ি হিসেবে গ্যাসচালিত পরিবহনে ফিরে যেতে পারেন তারা। এ বিষয়ে ম্যাকেঞ্জির সেন্টার ফর ফিউচার মোবিলিটির প্রধান ফিলিপ কাম্পশফ বলেন, ‘এমনটা আশা করিনি আমি। ভেবেছিলাম যে একবার যিনি ইভি কিনেছেন, তিনি সবসময় ইভি কিনবেন।’
এ জরিপে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৭ হাজারের মতো ইভি ব্যবহারকারীর মন্তব্য নিয়েছে ম্যাকেঞ্জি। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াই একমাত্র দেশ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় বেশি ইভি মালিক পুরনো ধাঁচের ইঞ্জিনে ফিরে যেতে প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়ায় এমন মত দিয়েছে ৪৯ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা।
জরিপে অংশ নেয়া অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও নরওয়ে। গড় ফল অনুযায়ী, সব উত্তরদাতার ২৯ শতাংশই ইভি বাদ দিতে চান।
গ্যাসচালিত গাড়িতে ফিরতে চাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো চার্জিং পরিকাঠামোর অভাব। এমনটা জানিয়েছেন ৩৫ শতাংশ উত্তরদাতা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ ভোট পেয়েছে ৩৪ শতাংশ। তাদের মতে, ইভির মালিকানা ধরে রাখতে সামগ্রিক খরচ খুব বেশি। প্রায় ৩২ শতাংশ বলেছেন, দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণে ইভির ড্রাইভিং প্যাটার্ন তাদের পছন্দ নয়।
তবে চার্জিং প্রাপ্যতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের সন্তুষ্টি গত বছরের জরিপের তুলনায় কিছুটা উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছে ম্যাকেঞ্জি। কিন্তু গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য ‘এখনো অনেক দীর্ঘ পথ যেতে হবে’ ইভি নির্মাতাদের। সূত্র : ফক্স বিজনেস।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই

বন্য হাতি হামলা

বন্য হাতি হামলা

পলো বাওয়া উৎসব

পলো বাওয়া উৎসব

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

গারো পাহাড়ে কলার আবাদ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে

বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে

শার্শায় আফিল জুট উইভিং ফ্যাক্টরি শ্রমিক নিহত

শার্শায় আফিল জুট উইভিং ফ্যাক্টরি শ্রমিক নিহত