সউদী আরব থেকে দু’বছরের মধ্যে মে মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স নিয়ে গেছে বিদেশিরা
১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম
সউদী আরবের শ্রমবাজারে নিযুক্ত বিদেশীরা গত মে মাসে ১ হাজার ২৬০ কোটি রিয়াল বা ৩৪০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে সউদী কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসএএমএ। আরো উল্লেখ করেছে, রেমিট্যান্সের এ অংক দুই বছরের কাছাকাছি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
একই প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, মে মাসে সউদী নাগরিকরা বিদেশে ৬১৮ কোটি রিয়াল রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ অর্থের এ অংক সর্বোচ্চ। এছাড়া আগের মাস মার্চের তুলনায় বৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ।
রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বৃদ্ধিকে কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গতি, উচ্চ বেতন, অর্থ প্রেরণে কম খরচ এবং বিদেশীদের আকর্ষণের সউদী আরবের কৌশলগত নীতির কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। অন্যদিকে ঋণ পরিশোধ, বিদেশে শিক্ষা ফি বা স্বাস্থ্যসেবায় খরচ করেছে সউদী নাগরিকরা।
এক্সপাট ডটকমের তথ্যানুসারে, সউদী আরবে প্রবাসীদের বেতন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেখানে একজন নির্বাহী গড়ে বছরে ১ লাখ ডলারের বেশি আয় করেন।
গত মাসে বিশ্বব্যাংকের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে উৎস ও প্রাপক দেশগুলোর মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠানোর কাঠামোগত ও চক্রীয় উভয় দিকই সংস্কার হয়েছে। এর অন্যতম কারণ অভিবাসী কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার, অভিবাসন নীতি, মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিনিময় হারের গতিবিধি ও ভূরাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনা।
বিশ্বব্যাংকের মতে, জিডিপির শতাংশ হিসেবে ২০২৩ সালে সউদী আরব বিশ্বব্যাপী হিসেবে বহির্মুখী রেমিট্যান্সে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে ছিল। মোট আকারের দিক থেকে বিশ্বব্যাপী অর্থ স্থানান্তরের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে সউদী আরব ও সুইজারল্যান্ড। এছাড়া শীর্ষ দশে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, জি২০ দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার পর রেমিট্যান্স পাঠানোয় সর্বনি¤œ খরচ হয় সউদী আরবে।
২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্সের প্রধান বৈশ্বিক উৎসগুলোয় চার্জ আগের বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশে স্থিতিশীল ছিল, যা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় বেশি। জি২০ দেশগুলোর মধ্যে চার্জের হারে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে ব্যয়বহুল দক্ষিণ আফ্রিকা ১২ দশমিক ৮ ও এরপর জাপানে ৭ শতাংশ।
২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ রেমিট্যান্স ছিল ভারত, ১১ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশে যথাক্রমে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ও ২ হাজার ২২০ কোটি ডলার। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সউদী আরব, কুয়েত, ওমান ও কাতার থেকে ভারতের মোট রেমিট্যান্সের ১১ শতাংশ এসেছে। সূত্র : আরব নিউজ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
"তালেবান নারীদের মানুষ মনে করে না" : মালালা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট
মোবাইল ইন্টারনেটে সুখবর ‘শর্ত শিথিল’, থাকছে ১ ঘণ্টার প্যাকেজও
গভীর রাতে গরিব অসহায় শীতার্ত মাঝে ইউএনও'র কম্বল বিতরন
বরিশালে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে
সেবা বঞ্চিত হলে অভিযোগ করা যাবে ইসির বিরুদ্ধে
এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরও ৩ হাজার শিক্ষক
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নবনিযুক্ত সচিব ছাগলনাইয়ার সন্তান সামছু উদ্দিন
বাংলাদেশে শনাক্ত হলো 'রিওভাইরাস’, রোগটি সম্পর্কে যা জানা যায়
আন্দোলনের মুখে পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়লো ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি
মাসের শেষে আবারো আসছে শৈত্যপ্রবাহ
বর্ষসেরা ফটোগ্রাফার হিসাবে পুরস্কার পেলেন, আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক মুগনিউর রহমান মনি
রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অফিসিয়াল ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
না ফেরার দেশে নির্মাতা রায়হান রাফির বাবা
এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২
ছাগলনাইয়ায় খালে ভাসছিল নারীর অর্ধগলিত লাশ
ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় ৫ দিনে গাজায় নিহত ৭০ শিশু