নতুন নামে ফিরলো থাইল্যান্ডের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল

ইনকিলাব ডেস্ক :

১১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০১ এএম

নতুন নামে ও নতুন নেতৃত্বে কাজ শুরু করেছে থাইল্যান্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রধান বিরোধী দল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি)। চলতি সপ্তাহেই দেশটির একটি আদালত দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। দলটি এখন থেকে প্রচাচন নামে পরিচিত হবে। ইংরেজিতে বলা হবে পিপলস পার্টি। দলটির নেতৃত্ব দেবেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ন্যাথাফং রুয়েংপানিয়াউত। শুক্রবার রাজধানী ব্যাংককে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলের প্রতিনিধি পারিত ওয়াচারসিন্ধু।
নামের ব্যাপারে পারিত বলেন, এমন নামের কারণ হলো আমরা এমন একটা দল হতে চাই যারা জনগণের রায়ে জনগণের জন্য কাজ করবে। সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই যাতে জনগণই সর্বোচ্চ ক্ষমতার উৎস হতে পারে। মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি বা এমএফপি একটি নতুন দল যা গত বছরের নির্বাচনের কিছুদিন আগে গঠিত হয় এবং নির্বাচনে সর্বাধিক আসন নিশ্চিত করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দলটিকে সরকার গঠন করতে দেয়া হয়নি। অবশেষ গত বুধবার (৭ আগস্ট) দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালতের সর্বসম্মত রায়ে দলটিকে বিলুপ্তির আদেশ দেয়া হয়। আদালত বলেন, দলটি দেশের কঠোর রাজকীয় মানহানি আইন সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। এখানেই শেষ নয়। এর কার্যনির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের রাজনীতি থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ করা হয় আরও ১০ জন সদস্যকেও।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো থাই আদালতের এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। ইইউ বলেছে, আদালতের এমন সিদ্ধান্তে থাইল্যান্ডে উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে নিষিদ্ধ করা হলেও থেমে যায়নি এমএফপি। দু’দিনের মধ্যেই নতুন নামে ফিরে এসেছে দলটি। এমএফপির রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্তত ১৪৩ জন এমপি নতুন দলে যোগ দিয়েছেন। নতুন দলের নেতা ৩৭ বছর বয়সি ন্যাথাফং বলেছেন, প্রচাচন এমএফপি’র আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে। থাইল্যান্ডের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার ও দলের লক্ষ্য হলো ২০২৭ সালে সরকার গঠন করা।’

বিভাগ : আন্তর্জাতিক