ভারতের হাসিনা সঙ্কট : দিল্লি কি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে?

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যত্থানের মধ্যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ভারত থেকে তাকে ফিরিয়ে এনে নিপিড়ন ও গণহত্যার জন্য বিচারের মুখোমুখি করার দাবি উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে তার উপস্থিতি দিল্লির জন্য ঢাকার বর্তমান সরকারের সাথে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

ভারতের কাছে বাংলাদেশ শুধু একটি প্রতিবেশী দেশ নয়। এটি ভারতের একটি কৌশলগত অংশীদার এবং দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে। দুই দেশের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যেটি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করা তুলনামূলকভাবে সহজ করে তোলে। ২০০৯ সালে হাসিনার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এটি এই কয়েকটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দমন-পিড়ন পরিচালনা করেছে। দুই দেশের আর্থিক দিকও রয়েছে। হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও যোগাযোগের বিকাশ ঘটেছে। ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের মাধ্যমে সড়ক, নদী এবং ট্রেনের সুবিধা লাভ করেছে।

২০১০ সাল থেকে ভারত অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে ৭শ’ কোটি ডলারেরও বেশি ঋণ দিয়েছে। হাসিনার আকস্মিক প্রলায়নের ফলে দিল্লিকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে যাতে এই লাভগুলো ভেস্তে না যায়। ঢাকায় নিযুক্ত প্রাক্তন ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী গত সপ্তাহে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘এটি একটি ধাক্কা এই অর্থে যে, আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে যে কোনো অশান্তি সবসময়ই অবাঞ্ছিত।’

পিনাক অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন যে দিল্লি ঢাকার অন্তর্র্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করবে কারণ আর কোনও বিকল্প নেই। তবে অনেক বাংলাদেশিরই ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। কারণ, দিল্লি বাংলাদেশের বিগত ৩টি নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগের মধ্যেও হাসিনার দলকে জয়ী হিসেবে দ্রুত সমর্থন দিয়েছে। ফলে, গত ১৫ বছর ধরে হাসিনা এবং তার আওয়ামী লীগের প্রতি অটল সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের ক্ষোভ প্রশমিত করতে দিল্লির সময় লাগবে।

হাসিনার পতনের সাথে, দিল্লির ‘প্রতিবেশী প্রথম› নীতিটিও আরেকটি ধাক্কা খেয়েছে যেখানে বাংলাদেশ ভারতের আধিপত্য বিস্তারের যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে মালদ্বীপ এবং নেপালের সাথে যোগ দিয়েছে। হাসিনার সবচেয়ে বড় মদদ দাতা ভারত গত বছর মালদ্বীপে তার পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ মুইজ্জুর কাছে হেরে যেতে দেখেছে যিনি তার অত্যন্ত প্রকাশ্য ভারত-বিরোধী অবস্থান নিয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দিল্লি যদি একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে তার মর্যাদা রক্ষা করতে চায় তাহলে অন্য প্রতিবেশী দেশে তার প্রভাব হারানো চলবে না, বিশেষ করে যখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী চীনও এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। ঢাকার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভারতের আঞ্চলিক নীতি নিয়ে কিছু আত্মবিশ্লেষণ করার সময় এসেছে। দিল্লিকে দেখতে হবে যে এটি তার আঞ্চলিক অংশীদারদের দৃষ্টিভঙ্গি যথাযথভাবে গ্রহণ করেছে কিনা।’

বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য বর্তমান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কমিটির প্রধান ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি শুধু বাংলাদেশের কথাই বলছি না, এ অঞ্চলের প্রায় সব দেশের কথাই বলছি।’
বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে ভারতের সরকারগুলো বাংলাদেশের ক্ষেত্রে- অন্যান্য বিরোধী দল, বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সাথে সুসম্পর্ক গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যদি বিএনপি ক্ষতায় আসে, তাহলে দিল্লির জন্য কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।

বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুল মঈন খান বলেন, ‘ভারত কোনোভাবে ভেবেছিল যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আওয়ামী লীগ ও তার সরকারই একমাত্র মিত্র। এটা ছিল কৌশলগত ভুল।’
এছাড়া, বাংলাদেশে যারা হাসিনার শাসনামলে ভুক্তভোগী তারা তার সরকারের দ্বারা সঙ্ঘটিত নির্যাতনের জন্য প্রকাশ্যে ভারতের প্রতি বিদ্বেষী। ভারতের হিন্দু-জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেগাফোন কূটনীতির মাধ্যমে সেই বিদ্বেষ প্রগাঢ় হয়েছে।

ছাত্র নেতারা এবং অন্তর্র্বর্তী সরকার বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর সঙ্ঘটিত সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানানোর পরও ভারতীয় সরকারপন্থী সংবাদ মাধ্যমগুলোয় এ সংক্রান্ত অতিরঞ্জিত বিবরণ ঢালাওভাবে প্রচারিত হয়েছে এবং মোদির দলের সাথে পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর বিক্ষোভের প্রদর্শনী ঘটিয়েছে।

নরেন্দ্র মোদি, যিনি হিন্দু জাতীয়তাবাদকে তার নেতৃত্বের মূল হাতিয়ার বানিয়েছেন, তিনি ১৭ শতকের লাল কেল্লার উপরে থেকে তার বার্ষিক স্বাধীনতা দিবসের ভাষণটি বাংলাদেশি হিন্দুদের বিপদে পড়ার খবর প্রচার করার জন্য ব্যবহার করেছেন এবং পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।

ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিদের ক্ষোভের পেছনে অন্য কারণও রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি নদী এবং জলসম্পদ ভাগাভাগি একটি বিতর্কিত বিষয়। ভারতের গোমতি নদীতে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট সাম্প্রতিক বন্যা প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে।

আকস্মিক বন্যায় বহু বাংলাদেশের মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেকে তাদের ঘরবাড়ি, জিনিসপত্র ও কৃষিজমি হারিয়েছে। অনেক গ্রামবাসী এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ভারতকে অভিযুক্ত করেছে যে রাতে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি বাঁধ খুলে পানি ছেড়ে দিয়ে এটি ঘটানো হয়েছে। অবশ্য, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি জারি করে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভারতের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ হল চীন। আঞ্চলিক আধিপত্যের লড়াইয়ে বেইজিং বাংলাদেশে তার সুসম্পর্ক প্রসারিত করতে আগ্রহী। মালদ্বীপের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর যখন মুইজ্জু তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য চীনকে বেছে নিয়েছিলেন তখন তাকে চীনে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ নিয়ে একই পরিণতি এড়াতে চাইবে দিল্লি। তাই ভারতে হাসিনার উপস্থিতি ঘিরে দিল্লিকে সাবধানে চলতে হবে, বিশেষ করে যদি নতুন সরকার আনুষ্ঠানিক প্রত্যর্পণের অনুরোধ করে।

দুই দেশের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে যা ২০১৩ সালে প্রথম স্বাক্ষরিত হয়েছিল যা হাসিনাকে ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ দেবে। তবে চুক্তির একটি ধারা বলে যে অপরাধটি রাজনৈতিক চরিত্রের হলে প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। এদিকে, ভারত তার শক্তিশালী মিত্র হাসিনাকে দেশ ছেড়ে যেতে বলবে না।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট বলেছেন, হাসিনার ফিরে আসার জন্য চাপ দেয়ার থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঢাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পিনাক এএফপিকে বলেন, ‘যে কোনো পরিণত সরকারই বুঝতে পারবে যে হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টিকে ইস্যু করা তাদের কোনো সুবিধা দেবে না।’

বাংলাদেশে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বধীন সরকার যদিও প্রকাশ্যে হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নয়াদিল্লির কাছে উত্থাপন করেনি, কিন্তু তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে তাকে অন্য দেশে পলায়নের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

ভট্টাচার্য সতর্ক করে বলেছেন, ‘ভারতে তাকে কীভাবে আতিথেয়তা দেওয়া হচ্ছে তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু সেখানে থেকে তিনি কীভাবে ঘরোয়া বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন তা বাংলাদেশিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যদি বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাহলে তা শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।’ সূত্র : বিবিসি, এএফপি


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বরিশালে জাতীয় মহাসড়কের ওপর নির্মিত পাক অপসারণে নগর ভবনকে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি

বরিশালে জাতীয় মহাসড়কের ওপর নির্মিত পাক অপসারণে নগর ভবনকে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩

দুইবার আবেদন করেও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় মাল্টার নাগরিকত্ব পায়নি তারিক সিদ্দিকের পরিবার

দুইবার আবেদন করেও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় মাল্টার নাগরিকত্ব পায়নি তারিক সিদ্দিকের পরিবার

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিল শুরু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিল শুরু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

মায়ের জন্য রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে তারেক রহমান

মায়ের জন্য রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে তারেক রহমান

রাজশাহীতে এবেলা ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজশাহীতে এবেলা ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

আশুলিয়ায় মেরামতের নাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে

আশুলিয়ায় মেরামতের নাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে

'বিয়ের গন্ডগোল' নিয়ে জোভান–তটিনী আত্মপ্রকাশ

'বিয়ের গন্ডগোল' নিয়ে জোভান–তটিনী আত্মপ্রকাশ

ভারতে বসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন ফ্যাসিস্টের দোসর আলাউদ্দিন নাসিম

ভারতে বসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন ফ্যাসিস্টের দোসর আলাউদ্দিন নাসিম

রুশ জ্বালানিখাতে আবারও যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

রুশ জ্বালানিখাতে আবারও যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

সিরিয়ার দামেস্কের মসজিদে পদদলিত হয়ে নিহত ৪ জন

সিরিয়ার দামেস্কের মসজিদে পদদলিত হয়ে নিহত ৪ জন

কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল

কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল

খাদ্য পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত নজর রাখতে পুনর্গঠন হলো এফপিএমসি

খাদ্য পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত নজর রাখতে পুনর্গঠন হলো এফপিএমসি

দেশে অস্তিত্বহীন দলবাজরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক

দেশে অস্তিত্বহীন দলবাজরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক

ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা

ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১২ বাংলাদেশি

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১২ বাংলাদেশি

লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল

লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল

বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত: ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত: ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত