এআইর সাহায্যে প্রতিহত হল বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি
২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
আর্থিক জালিয়াতি ঠেকাতে কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এর সুফলও পেতে শুরু করেছে। হালনাগাদ এ প্রযুক্তির সাহায্যে বিপুল পরিমাণ তথ্য খতিয়ে এক বছরে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার সমমূল্যের জালিয়াতির তথ্য পাওয়া গেছে।
আজকাল লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণে মেশিন লার্নিং এআই ব্যবহার করে মার্কিন অর্থ বিভাগ। ২০২৪ অর্থবছরে প্রাপ্ত বিশ্লেষণ থেকে অন্তত ১০০ কোটি ডলারের চেক জালিয়াতির তথ্য পাওয়া গেছে, যা আগের অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ। জালিয়াতির এ অর্থ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
অর্থ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা রেনাটা মিসকেল বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সত্যিই বড় পরিবর্তন এসেছে। জালিয়াতি শনাক্ত ও প্রতিহত করার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ তথ্যের কৌশলগত ব্যবহার কাজে দিয়েছে।’
মার্কিন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা এআইর সহায়তায় ২০২৪ অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি লেনদেনে জালিয়াতি প্রতিরোধ ও অর্থ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ছয় গুণ বেশি।
২০২২ সালের শেষের দিকে আর্থিক খাতের অপরাধ শনাক্ত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। একই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে দেশটির ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিতে।
কভিড-১৯ মহামারীর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ জালিয়াতির ঘটনা বেড়ে যায়। তখন ফেডারেল সরকার গ্রাহক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোয় জরুরি সহায়তা প্রদান করেছিল। এরপর জালিয়াতি খুঁজতে ও তা ঠেকাতে এআইর ব্যবহার শুরু করে সরকার।
ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির মতো জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করছে না ট্রেজারি বিভাগ। এর পরিবর্তে এআইর একটি শাখা মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সাহায্যে বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত ও পূর্বানুমান নির্ধারণ করা যায়।
মানুষের চোখ এড়িয়ে যেতে পারে এমন সূক্ষ্ম বিষয়ও দ্রুত সময়ে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যাধুনিক এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দেয়া হলে মাত্র মিলিসেকেন্ডের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করতে পারে।
প্রতি বছর মার্কিন অর্থ বিভাগ অন্তত ১৪০ কোটি পেমেন্টে প্রায় ৭ লাখ কোটি ডলার মূল্যের লেনদেনের মাধ্যমে ১০ কোটি মানুষকে সেবা দিয়ে থাকে। বিভাগটি সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পেমেন্ট, ফেডারেল কর্মীদের বেতন, ট্যাক্স রিফান্ড ও প্রণোদনা চেকসহ প্রায় সব ধরনের অর্থ প্রদানের কাজ পরিচালনা করে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জুনিপার রিসার্চের পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৮ সালের মধ্যে অনলাইন পেমেন্ট জালিয়াতি ৩৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য জালিয়াতি প্রতিহত করা অর্থ বিভাগের জন্য গুরুদায়িত্ব। সূত্র : সিএনএন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গফরগাঁওয়ে পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে সংঘর্ষ
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
পটিয়ায় পৌরসভার অপরিকল্পিত ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবি
বাঘারচর বিজিবি ক্যাম্পে ১৭৫ বস্তা ধনিয়া জব্দ মালিকের প্রশ্ন আরো ২০ বস্তা গেলো কোথায়?
ফেসবুকে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করলেন সাদিয়া আয়মান
স্বল্পমূল্যে কৃষিপণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য ‘কৃষকের বাজার’ উদ্বোধন
মানিকগঞ্জে এলাকাবাসীর অর্থায়নে রাস্তা মেরামত
হতাহতদের সাহায্যার্থে একটি হটলাইন চালু করা যেতে পারে
ভবদহের পানিবন্দি মানুষকে বাঁচাতে লংমার্চ কাল
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন?
শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ
সরকার সঠিক পথেই এগুচ্ছে
বন্যা-নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ ত্রাণ মাত্র ১০ কেজি চাল
ছোট ফেনী নদীর দু’পাড়ে ভাঙন বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ
কদমতলী-হাসনাবাদ সেতু ৪ বছরেও শেষ হয়নি
হিজবুল্লাহর হামলায় ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত ১৯
৮৫ মুসলিম হত্যার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন থাই প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানে ১০ পুলিশকে গুলি করে হত্যা করল জঙ্গিরা
সাগরতল দিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে যাবে সৌরবিদ্যুৎ
মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে বল ওয়াশিংটনের কোর্টে : পুতিন