ঢাকা   শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের চোখে মার্কিন নির্বাচন

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

 রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এতটাই খুশি হন যে- তিনি একটি ইহুদি বসতি এলাকার নাম ট্রাম্পের নামে রাখেন। গোলান মালভূমির পাথুরে খনি এলাকায় ছাড়া ছাড়া কিছু বাড়ি নিয়ে এই বসতি গড়ে উঠেছে। চার সন্তান নিয়ে এলিক গোল্ডবার্গ ও তার স্ত্রী হোদায়া ট্রাম্প হাইটসে বসতি স্থাপন করেছেন। গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে হামাস-ইসরাইল সংঘাত শুরু হওয়ার পর উত্তর ইসরাইল সীমান্তে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গেও ইসরাইলি বাহিনীর সংঘাত তারা দেখে আসছেন। লেবাননের সঙ্গে উত্তর ইসরাইলের সীমান্ত এলাকাটি ট্রাম্প হাইটস থেকে মাত্র ১০ মাইল দূরে। এলিক বলেন, ‘গত এক বছর ধরে আমাদের সবুজ সুন্দর ভূমির আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। লেবানন থেকে রকেট ছোড়ার দৃশ্য এখন আমাদের জন্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এটি এখন একটি যুদ্ধক্ষেত্র এবং কবে যে এর অবসান ঘটবে জানি না।’ এলিক বলেন, তিনি চান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন সঠিক কাজটিই করবে। অর্থাৎ ইসরাইলকে সমর্থন জানাবে। এলিকের এমন মতামত ইসরাইলে অনেকের কাছেই পাওয়া যাবে। আর ট্রাম্প এ ধরনের ভাষা ভালোই বোঝেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। তিনি একাধিক আরব দেশের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে মধ্যস্থতা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে জেরুালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ট্রাম্পের এসব কাজে খুশি হন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি একবার ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে আসা নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা বন্ধু বলে অভিহিত করেন। মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে ইসরাইলি নেতা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের প্রশংসায় কোনো রাখঢাক করেননি। বিভিন্ন জরিপ আভাস দিচ্ছে, ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে নেতানিয়াহু একা নন, তার সঙ্গে বহু ইসরাইলিও রয়েছেন। সাম্প্রতিক জরিপগুলোয় দেখা যায়, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ইসরাইলিই ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসতে দেখতে চান। ২০ শতাংশেরও কম ইসরাইলি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জয় চান। এ তো গেল ইসরাইলিদের দিক। ফিলিস্তিনের দিক থেকে অবশ্য মার্কিন নির্বাচন ঘিরে কোনো উত্তাপ মিলছে না। কেননা, মার্কিন নির্বাচনের দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস কাউকে নিয়েই তাঁদের মধ্যে কোনো উচ্চাশা নেই। অধিকৃত পশ্চিম তীরের একজন বিশিষ্ট ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ মোস্তফা বারঘৌতি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সামগ্রিক মনোভাব হলো ডেমোক্র্যাটরা খারাপ, কিন্তু ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তা আরো খারাপ হবে। দুজনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো, কমলা হ্যারিস আমেরিকান জনমতের পরিবর্তনের প্রতি আরো সংবেদনশীল হবেন। গাজা যুদ্ধ সউদী আরবের মতো মিত্রদের কাছ থেকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। তবে কমলা কিংবা ট্রাম্প কোনো প্রার্থীই তাঁদের তুলে ধরা এজেন্ডায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেননি। এ ব্যাপারে মোস্তফা বারঘৌতি মনে করেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ার ইস্যুটি একটি সেøাগান ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিডব্লিউ।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পশ্চিমবঙ্গের একই জেলায় ‘বাবরি মসজিদ’ ও রাম মন্দির গড়তে চায় তৃণমূল-বিজেপি
ফুটবলার থেকে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট, কে এই মিখাইল কাভেলাশভিলি?
তিন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ১৮ বছর বাদে মিথ্যা স্বীকার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেভাবে বিশ্বকাপ জিতেছে সউদী
রুশ সেনাকে ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউক্রেনের কমান্ডার বরখাস্ত
আরও

আরও পড়ুন

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে-ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে-ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ

লজিটেক নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের এম১৯৬ ব্লুটুথ মাউস

লজিটেক নিয়ে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের এম১৯৬ ব্লুটুথ মাউস

রাষ্ট্র গঠনে তারেক রহমানের ৩১দফা প্রচারে রামপালে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রাষ্ট্র গঠনে তারেক রহমানের ৩১দফা প্রচারে রামপালে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিসিসিএমইএ আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত

বিসিসিএমইএ আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত

‘ফিন্যান্স ডিরেক্টর অফ দ্য ইয়ার ২০২৪' হিসেবে স্বীকৃত পেলেন ব্র্যাকের সিএফও তুষার ভৌমিক

‘ফিন্যান্স ডিরেক্টর অফ দ্য ইয়ার ২০২৪' হিসেবে স্বীকৃত পেলেন ব্র্যাকের সিএফও তুষার ভৌমিক

টেকনোলজি লিডারশিপে উৎকর্ষের জন্য সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড পেলেন বিএটি বাংলাদেশের সারজিল সারওয়ার

টেকনোলজি লিডারশিপে উৎকর্ষের জন্য সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড পেলেন বিএটি বাংলাদেশের সারজিল সারওয়ার

আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্রমের প্রতি বাংলাদেশি অভিভাবকদের আগ্রহ বাড়ছে

আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্রমের প্রতি বাংলাদেশি অভিভাবকদের আগ্রহ বাড়ছে

ইবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে গোল্ডেন লাইনের আটক

ইবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে গোল্ডেন লাইনের আটক

গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে প্রধান উপদেষ্টাকেও ছাড় নয়

গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে প্রধান উপদেষ্টাকেও ছাড় নয়

সচেতনতা হাজার হাজার শিশুকে বাঁচাতে পারে অন্ধত্ব থেকে: কর্মশালায় বক্তারা

সচেতনতা হাজার হাজার শিশুকে বাঁচাতে পারে অন্ধত্ব থেকে: কর্মশালায় বক্তারা

হত্যা মামলার আসামি হয়েও ধরাছোয়ার বাইরে পুলিশ কর্মকর্তারা

হত্যা মামলার আসামি হয়েও ধরাছোয়ার বাইরে পুলিশ কর্মকর্তারা

৫ আগস্টের পর থেকে আমরা কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছি   -আবুল হোসেন আজাদ

৫ আগস্টের পর থেকে আমরা কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছি   -আবুল হোসেন আজাদ

গণ-অভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সাথে বেঈমানি করলে কাউকেই ছাড়া দেয়া হবে না - রাজশাহীতে সারজিস আলম

গণ-অভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সাথে বেঈমানি করলে কাউকেই ছাড়া দেয়া হবে না - রাজশাহীতে সারজিস আলম

বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি- এড. মুয়াযযম হোসাইন হেলাল

বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি- এড. মুয়াযযম হোসাইন হেলাল

মানিকগঞ্জে ডিএফএ'র নতুন কমিটির সভাপতি ইলিয়াস, সম্পাদক আলাউদ্দিন

মানিকগঞ্জে ডিএফএ'র নতুন কমিটির সভাপতি ইলিয়াস, সম্পাদক আলাউদ্দিন

পশ্চিমবঙ্গের একই জেলায় ‘বাবরি মসজিদ’ ও রাম মন্দির গড়তে চায় তৃণমূল-বিজেপি

পশ্চিমবঙ্গের একই জেলায় ‘বাবরি মসজিদ’ ও রাম মন্দির গড়তে চায় তৃণমূল-বিজেপি

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা চেয়ে মৌলভীবাজারে শেষ হলো তাবলীগের তিন দিনের জেলা ইজতেমা

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা চেয়ে মৌলভীবাজারে শেষ হলো তাবলীগের তিন দিনের জেলা ইজতেমা

ফুটবলার থেকে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট, কে এই মিখাইল কাভেলাশভিলি?

ফুটবলার থেকে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট, কে এই মিখাইল কাভেলাশভিলি?

তিন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ১৮ বছর বাদে মিথ্যা স্বীকার

তিন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ১৮ বছর বাদে মিথ্যা স্বীকার

রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল

রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল