ঢাকা   শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের চোখে মার্কিন নির্বাচন

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

 রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এতটাই খুশি হন যে- তিনি একটি ইহুদি বসতি এলাকার নাম ট্রাম্পের নামে রাখেন। গোলান মালভূমির পাথুরে খনি এলাকায় ছাড়া ছাড়া কিছু বাড়ি নিয়ে এই বসতি গড়ে উঠেছে। চার সন্তান নিয়ে এলিক গোল্ডবার্গ ও তার স্ত্রী হোদায়া ট্রাম্প হাইটসে বসতি স্থাপন করেছেন। গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে হামাস-ইসরাইল সংঘাত শুরু হওয়ার পর উত্তর ইসরাইল সীমান্তে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গেও ইসরাইলি বাহিনীর সংঘাত তারা দেখে আসছেন। লেবাননের সঙ্গে উত্তর ইসরাইলের সীমান্ত এলাকাটি ট্রাম্প হাইটস থেকে মাত্র ১০ মাইল দূরে। এলিক বলেন, ‘গত এক বছর ধরে আমাদের সবুজ সুন্দর ভূমির আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। লেবানন থেকে রকেট ছোড়ার দৃশ্য এখন আমাদের জন্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এটি এখন একটি যুদ্ধক্ষেত্র এবং কবে যে এর অবসান ঘটবে জানি না।’ এলিক বলেন, তিনি চান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন সঠিক কাজটিই করবে। অর্থাৎ ইসরাইলকে সমর্থন জানাবে। এলিকের এমন মতামত ইসরাইলে অনেকের কাছেই পাওয়া যাবে। আর ট্রাম্প এ ধরনের ভাষা ভালোই বোঝেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। তিনি একাধিক আরব দেশের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে মধ্যস্থতা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে জেরুালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ট্রাম্পের এসব কাজে খুশি হন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি একবার ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে আসা নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা বন্ধু বলে অভিহিত করেন। মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে ইসরাইলি নেতা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের প্রশংসায় কোনো রাখঢাক করেননি। বিভিন্ন জরিপ আভাস দিচ্ছে, ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে নেতানিয়াহু একা নন, তার সঙ্গে বহু ইসরাইলিও রয়েছেন। সাম্প্রতিক জরিপগুলোয় দেখা যায়, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ইসরাইলিই ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসতে দেখতে চান। ২০ শতাংশেরও কম ইসরাইলি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জয় চান। এ তো গেল ইসরাইলিদের দিক। ফিলিস্তিনের দিক থেকে অবশ্য মার্কিন নির্বাচন ঘিরে কোনো উত্তাপ মিলছে না। কেননা, মার্কিন নির্বাচনের দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস কাউকে নিয়েই তাঁদের মধ্যে কোনো উচ্চাশা নেই। অধিকৃত পশ্চিম তীরের একজন বিশিষ্ট ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ মোস্তফা বারঘৌতি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সামগ্রিক মনোভাব হলো ডেমোক্র্যাটরা খারাপ, কিন্তু ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তা আরো খারাপ হবে। দুজনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো, কমলা হ্যারিস আমেরিকান জনমতের পরিবর্তনের প্রতি আরো সংবেদনশীল হবেন। গাজা যুদ্ধ সউদী আরবের মতো মিত্রদের কাছ থেকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। তবে কমলা কিংবা ট্রাম্প কোনো প্রার্থীই তাঁদের তুলে ধরা এজেন্ডায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেননি। এ ব্যাপারে মোস্তফা বারঘৌতি মনে করেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ার ইস্যুটি একটি সেøাগান ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিডব্লিউ।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
আরও

আরও পড়ুন

পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন

কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন

গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ

মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ

কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের

কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের

৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী

৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী

৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান

৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান

তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ

তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ

ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?

ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?

মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি

মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি

গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের

গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের

পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি

পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি

আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান

আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান

শুধু নারীদের জন্য

শুধু নারীদের জন্য

নিথর দেহ

নিথর দেহ

আত্মহননে

আত্মহননে

জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী

জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী

মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়

গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়

শুধু নামেই জিমনেসিয়াম

শুধু নামেই জিমনেসিয়াম